ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকে অনেকটাই অনিয়মিত এখন তিনি। শোবিজে আগের মতো দেখা যায় না তাকে। সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত সক্রিয় থাকেন এই অভিনেত্রী। সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে পাশে ছিলেন। তবে হঠাৎ করেই হতাশা জেঁকে বসেছে অভিনেত্রীকে। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমনটাই জানালেন শবনম ফারিয়া। গত রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন শবনম ফারিয়া, যা ঘিরে অনুরাগীদের মাঝেও বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পোস্টে অভিনেত্রী জীবন নিয়ে হতাশার কথা উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, ‘অনেক বড় গলায় অনেক কথা বলেছিলাম। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্রচুর ঝগড়া করেছিলাম, বলছিল- দেখিস! দেখতেছি। হতাশ হলেও বলা যাবে না হতাশ, এইটাই সবচেয়ে বড় হতাশা!’ এদিকে অভিনেত্রীর এমন পোস্ট দেখে অনুরাগীদের পাশাপাশি নেটিজেনরাও মন্তব্য করছেন। অনেকেই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বিদ্রুপ করছেন অভিনেত্রীকে। পোস্টে ‘হাহা’ রি-অ্যাক্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর হতাশার এই পোস্টকে বিদ্রুপ করছেন অধিকাংশ মানুষ। একজন লিখেছেন, ‘যা-ই হোক, নিজেদের ওপর পড়ার পরে তা-ও ক্লিয়ার বলতে পারলেন না- এটা দুঃখজনক। আগে যারা গণতন্ত্রের বাণী শুনিয়েছেন, এখন তারা তামাশা দেখছেন, এর মাঝে আপনিও একজন।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘এটাই পাওনা ছিলেন, ওয়েট আরো পাবেন।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘সবেই তো শুরু আপা, এত তাড়াতাড়ি স্বাধীনতার স্বাদে অনীহা আনা যাবে না।’ কেউ কেউ বিদ্রুপ করে লিখছেন, ‘লাল স্বাধীনতার লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।’ তবে অনুরাগীদের এমন মন্তব্যের ঝড়ে নিজের স্ট্যাটাসে কিছুটা সংশোধন করেছেন অভিনেত্রী। স্ট্যাটাসের নিচে যোগ করেছেন, ‘স্ট্যাটাসটা একটা প্রেম-ভালোবাসা বিষয়ক স্ট্যাটাস ছিল! বাকিটা মনে হচ্ছে ইতিহাস। ধন্যবাদ পেজ-এর রিচ বাড়ানোর জন্য! যে যা ভেবে শান্তি পায়!’ এরপর পোস্টে মন্তব্যের অপশন বন্ধ করে দেন অভিনেত্রী। অভিনয়ে বর্তমানে কিছুটা নিজেকে আড়াল রাখতে দেখা যাচ্ছে শবনম ফারিয়াকে। পর্দায় আগের মতো নিয়মিত নেই। তবে এবার নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন ফারিয়া। বিচারক হিসেবে পর্দায় ফিরতে চলেছেন। এনটিভিতে শিগগিরই শুরু হতে যাওয়া কমেডি অনুষ্ঠান মার্সেল ‘হা শো’-এর সপ্তম সিজনে বিচারকের আসনে বসবেন তিনি।
Leave a Reply