ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়কের আজমপুর কাঁচাবাজার (বিডিআর মার্কেট) সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠানিক ভাবে এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী এনডিসি, কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিএমপি।
ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে গাজীপুরের যেসব বাস চলে, সেগুলো এখন থেকে চলবে কাউন্টার পদ্ধতিতে।গোলাপি রঙের এসব বাসের সংখ্যা দুই হাজার ৬১০। এতোদিন ২১টি কোম্পানির অধীনে চলা এসব বাসে শৃঙ্খলা আনতে চালু করা হয়েছে ই-টিকেট।
তিনি বলেন, ঢাকার ভঙ্গুর ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার প্রথম পদক্ষেপ এটি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো রুটে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
“ঢাকা বিমানবন্দরে কোনো বিদেশি নাগরিক নামলেই আমাদের বিশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা চোখে দেখে। একটি বাস আরেক বাসকে গরু-মহিষের মতো গুতাগুতি করে। এগুলো নিয়ে ট্রল হয়।
পুলিশ কমিশনার সাজ্জাত বলেন, “আমাদের রাস্তায় একজন নারী যাত্রী তার সন্তানকে নিয়ে বাসে উঠতে পারেন না। তাকে উঠতে দেওয়া হয় না। চালকরা রাস্তায় যাত্রীদের নামিয়ে দেন। এভাবে চলতে পারে না।”
তিনি বলেন, “শুধু অভ্যাসের পরিবর্তন করলেই ঢাকার পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
বাস চালক ও সহকারীদের নিয়োগপত্র দিতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ করেন কমিশনার সাজ্জাত আলী।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, বিভিন্ন রুটের আসা-যাওয়ায় ১০০টি কাউন্টার থাকবে, এরইমধ্যে বেশিরভাগ কাউন্টার তৈরি হয়ে গেছে।
“আমরা আশা করছি মোটামুটি ১০-১৫ দিনের মধ্যে সবগুলো গাড়ি রং করা যাবে। কাউন্টার পদ্ধতিতে চললে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে।”
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply