চৈত্রের শেষের দিকে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে জনজীবন। সারা দেশের মতো কুষ্টিয়ায় টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা।গত রবিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ।চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল থেকে জেলায় তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সহসাই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে তারা।
টাঙ্গাইলে গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। জেলায় আরও কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
গত শনিবার (০৮ এপ্রিল) সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদর, বটতলা, সাবালিয়া, নিরালা মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। রিকশাচালকদের কেউ কেউ গাছের নিচে রিকশায় বসে আবার কেউ দোকানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ভ্যানচালক মিন্টু আলী বলেন, চৈত্রের এই তীব্র রোদের কারণে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।
জেলা সদর সড়কে কথা হয় রিকশা চালক মোজাম্মেল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, কয়েক দিন থেকে রোদের তাপ অনেক বেশি। এতে রোজা রেখে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ ছাড়া রোদ বেশি হলে মানুষ ঘর থেকে কম বের হন। এতে আমাদের আয় কমে গেছে। চলতেও কষ্ট হচ্ছে।
অপর রিকশা চালক রূপচান মিয়া বলেন, দুই সপ্তাহ পর ঈদ। প্রচন্ড রোদের কারণে আধা ঘণ্টা ফিকশন চালাই আর আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নেই। এতে রোজগার অনেকটা কমে গেছে।
রাজ মিস্ত্রি শ্রমিক হুমায়ুন মিয়া বলেন, অন্যান্য পেশার তুলনায় আমাদের কাজে পরিশ্রম বেশি। আর কয়েক দিনের রোদে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য বেশি। এ ছাড়া চৈত্র মাসের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
Leave a Reply