চিত্রনায়িকা পরীমনি বিগত ১৩ বছরে বিয়ে করেছেন মাত্র ৫ টা। ১.ইসমাইল হোসেন (২০১০ – ২০১২)। ২.ফেরদৌস কবীর সৌরভ (২০১২ – ২০১৪)। ৩.তামিম হাসান (২০১৯ – ২০২০)। ৪.কামরুজ্জামান রনি (২০২০ – ২০২০)। ৫.শরিফুল রাজ (২০২১ – ২০২৩) মাশাল্লাহ আরো সাতটা হোক সমস্যা নেই, একটু শান্তি, একটু তৃপ্তি আর বেঁচে থাকাটাই মূল কথা । বাংলাদেশে নারীর অধিকার অনেকটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার জ্বলন্ত প্রমাণ পরিমনি। মন চাইলেই রাত বেরাত বের হতে পারে। মদের দোকান থেকে বস্তিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। ইচ্ছে করলেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে জন্মদিন উদযাপন করতে পারে। ইচ্ছে করলে হেলিকপ্টার নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে উড়ে যেতে পারে। মন চাইলেই মদের দোকানের সিকিউরিটির পিছনে লাথি মারতে পারে। ইচ্ছে করলে দেশের ধনধন্নাট্য ব্যক্তির সঙ্গে কিংবা প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্মকর্তার সঙ্গেও ভালো বন্ধুত্ব করতে পারে। দু একটা মামলা নিয়ে জেল পুলিশ এমনকি বিবাদীর সঙ্গে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলাও করতে পারেন। এরপরেও কি আমাদের নারীরা পিছিয়ে আছেন! নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে হয় না? যেমন খুশি তেমন সাজো এ কথাটাও পরীমনি সফল করেছেন। সাধারণ দর্শকেরা বলে অর্ধউলঙ্গ হয়ে কিংবা দেশের সবচাইতে ছোট ড্রেস পরে সাংবাদিক সম্মেলন করা, জন্মদিন করা এমনকি সিনেমার প্রচারণার নাম করে খোলামেলা পোশাক পড়ে সাহস দেখিয়েছেন এই চিত্র নায়িকা পরীমনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিছু বাচ্চা ছেলে মেয়েরা পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তোমাদের বলবো তোমরা পরিমনির দিকে তাকাও! দেখো প্রিয় সোনার বাংলাদেশে পোশাকের স্বাধীনতা আছে কিনা? পরিশেষে জীবনের সবচাইতে বড় একটা সিদ্ধান্ত, বাঙালি সংস্কৃতিতে বলা হয় বিয়ে। এটাকেও তিনি তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে একের পর এক পাঁচটা বিয়ে করেছেন। সমাজকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন নারীরাও তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে পারেন। একজন নারীর ব্যক্তিগত সুখ শান্তির জন্য যখন যা ইচ্ছা করা সম্ভব এই বাংলাদেশে। যার বাস্তবিক প্রমাণ চিত্র নায়িকা পরীমনি। পরীমনি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন কিনা আমি জানিনা তবে তিনি পুরনো বাংলার সংস্কৃতি কিংবা নারীর প্রতি অবিচারের প্রতিঘাত হিসেবে নিজেকে দাড় করিয়াছেন। একজন পুরুষের যৌনক্ষুধা কিংবা শারীরিক তৃপ্তি দেওয়ার জন্য স্ত্রী (নারী) প্রস্তুত কিন্তু পরীমনি নয়। পরীমনি নিজের সুখ, নিজের তৃপ্তির জন্য, নিজের অধিকারের জন্য, নিজেকে তৈরি করেছেন, নিজেকে প্রস্তুত করেছেন,এই সমাজে নিজেকে যোগ্য হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।
পুরুষের রান্না করা কিংবা ঘর সাজিয়ে রাখার জন্যও স্ত্রী সর্বদা উপস্থিত কিন্তু পরিমনি নয় ।
পরীমনি সেই নারী নয়, যার জিবনচলার পথে রয়েছে ১২ হাতের শাড়ি। পরিশেষে এ কথা বলতেই হয়। আপনি নারী কিংবা পুরুষ যেই হোননা কেন! আপনার অধিকার আপনার স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে তার পিছনে রয়েছে অর্থ আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। নারীর অধিকার কিংবা পুরুষত্ব যাই বলেন না কেন! এগুলোকে সফল করতে হলে প্রথমত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অর্থ সম্পদে সাবলম্বী হতে হবে। আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণের অর্থ সম্পদ থাকলে, আপনার একটা, দুইটা, তিনটা, চারটা, পাঁচটা এমনকি তার চাইতে বেশিও আপনি বিয়ে করতে পারেন। আপনার নিজস্ব তৃপ্তি, আপনার স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য। পরীমনির কর্মকাণ্ডে সমাজে আমাদের নারীদের কতটা উৎসাহিত করছেন বা ক্ষতি করছেন সেটার সবদিক নিয়ে আমি আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করছি না। তবে এটা পরিস্কার যে, এই সমাজের মানুষের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটা নারীর আর্থিক স্বাবলম্বী হতে হবে। নিজেকে সু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। স্বামীর অর্থের উপরে নিজের শখ আহ্লাদ পছন্দের দায়িত্ব অর্পিত না করে, নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করো, নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স এমন ভাবে প্রস্তুত করো যা থেকে নিজের মত স্বাধীনতা রক্ষ যায়।
Leave a Reply