নোয়াখালী জেলার চাটখিলে ধর্মপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে প্রবাসী শামছুল ইসলাম (৬৫) দীর্ঘ ৪৫ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত থেকে গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে আসেন। গতকাল বৃহস্পাতিবার সকালে তিনি চাটখিলে সাংবাদিকদের জানান তার একটি সেমি পাকা ঘর ছিল। তিনি প্রবাসে থাকা অবস্থায় ঘরটি ভাংগার ব্যবস্থা করলে তার ছোট ভাই অষ্ট্রোলিয়া প্রবাসী নজরুল ইসলাম ঘর ভাংগার কাজ যারা করেছিলেন তাদের মধ্যে তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম, ছোট বোন আলেয়া বেগম, ভাগ্নি জামাই শহিদ উল্যা, দিনমজুর রুবেল এবং মাহফুজের নামে মিথ্যা বানোয়াট হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করেন। তিনি বৃদ্ধা প্রবাসী জানান, এই মামলায় জড়িত পাঁচ জনের ব্যয় ভার বহন করতে হচ্ছে। ভাংগা সেমি পাকা ঘরের বিদ্যুত বিল, হোল্ডিং নম্বর, চৌকিদারীর টেক্স জমির নামজারি সহ সকল কাগজপত্র শামছুল ইসলামের নামে। গত ছয় মাস আগে তার সাথে তার ছোট ভাই নজরুল ও বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে খিলপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সালিশ হয় এবং জমি বন্টক নামা হয়। তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বন্টক নামা হলে তিনি ঐ পাঁচ জনের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করবেন বললেও বন্টক নামা শেষ হওয়ার পর নজরুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহার না করে অষ্ট্রোলিয়া চলে যান। বর্তমানে নজরুলের মননীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করছেন। বৃদ্ধ বয়সে শাসছুল ইসলাম মামলা মানসিক হয়রানির শিকার হয়ে বিপদর্যস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি এই মামলা প্রত্যাহার এবং হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গের সহযোগীতা কামনা করছেন।
Leave a Reply