ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার দৈনিক আমার সময়”কে বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোন ৩/১ আওতাধীন কাফরুল থানাধীন এলাকার সৈয়দ আহাম্মদ রোডে রাজউক নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করি। এই সময়ে নকশাবহির্ভূত ৩টি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয় এবং ইব্রাহীমপুর বাজার রোডে ১টি ভবনের সেটব্যাক ও ভয়েড এ ব্যত্যয় পাওয়া গেছে বিধায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একই সঙ্গে তারা যেন পরবর্তীতে রাজউকের অনুমোদিত নকশার বাহিরে নির্মাণকৃত অংশ নিজ নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে ফেলে ভবন নির্মাণ করে সে বিষয়ে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এসময় ভবন মালিক পক্ষ উপস্থিত থেকে রাজউকের অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করবেন বলে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেন। ভবিষ্যতে ভবনের নকশাবহির্ভূত কোনো কাজ করবেন না বলে জানান তারা।
শেওড়াপাড়া এলাকার উচ্ছেদ সম্পর্কে রাজউক জোন ৩ এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার দৈনিক আমার সময়’কে বলেন, আমরা এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা ভবনের রাস্তার পার্শ্বস্থ বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দিয়েছি ও মালিক পক্ষের নিকট থেকে মুচলেকা নিয়েছি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে রাজউক জোন ৩/১ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনি দৈনিক আমার সময়’কে বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউক অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করার বিষয়ে বারবার সতর্ক করার পরেও যে সকল ভবন নির্মাণকারীগণ রাজউকের ভবন নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধেই আজকের এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা সহ কোন ভবন নির্মাণকারী রাজউকের ভবন নির্মাণ বিধি কখনোই লঙ্ঘন না করে তা সতর্ক করনের জন্যই এই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা। জনস্বার্থে রাজউকের এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের উচ্ছেদ কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন-৩/১ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনি। এছাড়াও সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শক মো. শামীম হোসেন ও নাঈমুল হোসেন সহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ সম্পর্কে ইমারত পরিদর্শক মো. শামীম হোসেন বলেন আমার এলাকায় ৪টি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ভবনগুলোর বর্ধিত অংশ সমুহ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং ভবন মালিকদের নিকট থেকে নন জুডিশিয়াল স্টেম্পে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে যেন ভবনের বর্ধিত বাকী অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে ফেলেন। ভবিষ্যতে এধরণের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উদ্যোগ নিব।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ সম্পর্কে ইমারত পরিদর্শক মো. নাঈমুল হোসেন বলেন আমার এলাকায় ১টি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং ভবন নির্মাণকারীর নিকট থেকে নন জুডিশিয়াল স্টেম্পে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে যেন, নিজ দায়িত্বে ভবনের বাকী বর্ধিত অংশ সমুহ নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে ফেলে এবং রাজউক বিধি লঙ্ঘন না করে।
Leave a Reply