1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ৪ সাংবাদিককে মারধর ও গুলি - দৈনিক আমার সময়

আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ৪ সাংবাদিককে মারধর ও গুলি

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
    প্রকাশিত : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলায় পেশাগত কাজে যাওয়ার পথে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ৪ সাংবাদিককে মারধর করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। 

আহতরা জানান, একপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। পরে লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়া হয়েছে।

সোমবার বিকালে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, আমার বার্তা প্রতিনিধি আব্দুল মালেক নীরব, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ।

সাংবাদিক রফিকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিকরা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দত্তপাড়া গ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে দখল ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে ৮-১০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল থামিয়ে মারধর ও ছড়া গুলি ছোড়ে। এ সময় তাদের সংবাদ সংগ্রহ না করে চলে যেতে বলেন তারা।

সাংবাদিকরা ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এ সময় গুলি করলে লক্ষ্যচ্যুত হয়। পরবর্তীতে ৪ জনের মোবাইল ফোনসহ টাকা পয়সা সঙ্গে থাকা সব কিছু নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা মুখোশধারী ছিলেন। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা ও গুলি করেন। তারা জিম্মি করে আমাদের মোবাইল ফোন ও টাকাসহ মানিব্যাগগুলো নিয়ে যান।

সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ বলেন, এক্সরে করেছি রিপোর্টে এসেছে এখনো আমার কানের ভিতরে গুলি রয়েছে। আমার দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু আহত সাংবাদিকদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দেখতে আসেন।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজন সাংবাদিকের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তা গুলির কিনা এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জেলা পুলিশ সুপার মো.  আকতার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ইনচার্জ। এ ঘটনা তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে এখনো সাংবাদিক যারা আহত হয়েছেন তাদের কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে কেউ অভিযোগ করেলে তা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com