দেশের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত পরিবহন খরচের কারণে বাজারে চিনির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেশি, ডলারের দাম বেশি। চিনির অধিক মূল্যের পেছনে এসব কারণও দায়ী বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই। খোলা চিনি থাকলেও সেগুলোর দাম বেশি। তেলও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কী করছেন? জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ ছিল। যেহেতু সেটা আর নেই, পহেলা মে থেকে সে জন্য দাম বাড়াতে অ্যাসোসিয়েশন থেকে আমাদের কাছে লেখা হয় এবং ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ আমরা সমন্বয় করে দিয়েছি। তিনি বলেন, চিনির ক্ষেত্রে একটু ঘাটতি রয়েছে, এ ধরনের খবর আছে। আমরা ভোক্তা অধিকারকে এরইমধ্যে বলেছি। চিটাগাং পোর্ট থেকেও খবর নিচ্ছি যে, চিনি নিয়ে জাহাজ কতগুলো এসেছে। চিনির দামের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনের যে দাবি ছিল সেটাও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুপারিশ করেছে। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা সর্বোচ্চ দামে বিক্রির জন্য তাদের জানিয়েছি। আমরা ১০৪ টাকা ও ১০৯ টাকার জায়গায় ১২০ টাকা এবং ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে বিপণন করতে অনুরোধ করেছি। সচিব জানিয়েছেন, চিনির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে। কমানোর পরেও দাম অতটা কমানো যাচ্ছে না। এরমধ্যে মূলত দুটি কারণ হলো- আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি ও ডলারের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি দেশের মধ্যে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এটা হয়তো দামে প্রতিফলিত হচ্ছে। তবে, এ বিষয়টি এনবিআর দেখছে। চিনির জন্য যে ট্যারিফ হার কমানো হয়েছে সেটি ৩১ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply