কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের মৃত সুরাত আলী মন্ডলের ছেলে খেজের আলী মন্ডল (৬৫) এর গত ২০২৩ শনিবার (৭ অক্টোবর ) সকাল অনুমানিক ৭:৩০ মিনিটে উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের খেজের আলী মন্ডলের নিজ বাড়ির পিছনের মাঠে থেকে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন দৌলতপুর থানা পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর নিহতের ভাই নাজির আলী বাদি হয়ে গত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে একটি দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নং ১৪।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়া শহীদ আবু সরোয়ার জানান, মামলাটি ক্লোলেস হওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে পি বি আই কে তদন্ত দেন।
অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই কুষ্টিয়া জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহীদ আবু সরোয়ারের সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি চৌকস দল মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। তদন্তের সকল কলাকৌশল অবলম্বন করে জানা যায় ঘটনার সাথে আনোয়ার জড়িত। শনিবার(৩০ শে মার্চ) বিকালে আনোয়ারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করার জন্য নিয়ে আসলে । তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও টানা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার স্বীকার করে যে, সে তার পিতাকে রাতের আধারে কিছু গোপন কথা বলার জন্য গোরস্থান সংলগ্ন মামলার ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে পিছন থেকে সজোরে কোদাল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে মাথার মগজ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। ভিকটিম পড়ে গেলে আঘাত করে বুকের হাড় ভেঙ্গে ফেলে এবং মৃত্য নিশ্চিত করে।দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ, ধার দেনা, পারিবারিক অশান্তি, নিজ পুত্র শিশির (২০) এর দুর্ব্যবহার ইত্যাদি কারণে আনোয়ার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার পিতা খেজের আলীকে হত্যা করে মর্মে জানায়। তার দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত কোদাল রবিবার (৩১ শে মার্চ) সকালে পিবিআই কুষ্টিয়া টিম উদ্ধার করে। আনোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply