1. : admin :
ভূমিধ্বস কমানোর উপায় খুঁজতে হবে - দৈনিক আমার সময়

ভূমিধ্বস কমানোর উপায় খুঁজতে হবে

আমার সময় ডেস্ক
    প্রকাশিত : শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩

ভূমিধ্বস বলতে পাহাড়-পর্বতের গা থেকে মাটির চাকা বা পাথরের খন্ড- বিরাট মাধ্যাকর্ষণ এর টানে নীচে পড়লে তাকে ভূমিধ্বস বলে। অনেক সময় পাহাড়ের ওপর থেকে জল ও মাটি মিশে কাদা আকারে বিপুল পরিমাণে নিচে নেমে আসলে তাকেও এক ধরনের ভূমিধ্বস আখ্যা দেয়া হয়। ভূমিধ্বস বাড়ছে চট্টগ্রামে ও বান্দরবনে। এর থেকে বাচার উপায় কি তা খুঁজে বের করা একান্ত জরুরী। প্রতি বছর জুন-জুলাই এসময়ে অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে ভূমিধ্বস বেশি হয়ে থাকে। এতে বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। প্রকৃতপক্ষে প্রতি বছরই, বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয়বিধ ঢালে ভূমিধ্বস সংঘটিত হয়। বাংলাদেশ ঘন বসতিপূর্ণ দেশ হলেও জনসংখ্যার বিন্যাসের দিক থেকে পাহাড়ি অঞ্চল একেবারে বিপরীত। আর এর পেছনেও বড় কারণ এই ভূমিধ্বস ভীতি, যা সেখানে বসবাস করতে অথবা অবকাঠামো গড়ে তুলতে নিরুৎসাহিত করে, যদিও অসমতা, গভীর অরণ্য এবং বন্ধুর ভূ-প্রকৃতিও এর জন্য দায়ী। ভূমিধ্বসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সড়ক প্রতিবন্ধকতা। বান্দরবন ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় এটা অহরহ ঘটছে। গোটা দেশের সঙ্গে বান্দরবন শহরকে যুক্তকারী প্রধান সড়কসমূহ প্রায় প্রতিবছর ভূমিধ্বসের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শহরটি ও সংলগ্ন অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। ভবনাদি ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধ্বস সাধারণত পার্বত্য জেলা শহরের শহর ও উপশহর কেন্দ্রে সীমিত। বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো, বিশেষ করে খাড়া উঁচু ঢালের উপর যেগুলি বিদ্যমান সেগুলি, ভূমিধ্বসের কারণে ধসে পড়ে জানমালের ক্ষতি সাধন করে। বিগত বছরগুলিতে খাড়া উঁচু ঢালে জুমচাষ এবং অন্যান্য চাষাবাদও ভূমিধ্বস সংঘটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবছর সম্প্রতি অতি ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবনে বন্যা এবং ভূমিধ্বস পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভূমিধ্বসের প্রধান কারণ হলো ঢালু স্থানের অস্থিতিশীলতা। বিভিন্ন কারণে ঢালু ভূমি অস্থিতিশীল হতে পারে। গাছপালা কেটে ফেলা বা আগুনে পুড়ে যাওয়ার ফলে ভূমি ক্ষয় হয়ে থাকে। অতি বৃষ্টিপাত কিংবা বরফ গলার ফলে মাটি নরম হয়ে ভূমিধ্বস হতে পারে। এছাড়াও অনেক সময়ে মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেও ঘটে থাকে। সম্প্রতি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এব বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম ও বান্দরবনে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাহাড়ের এমন অনেক জায়গায় এখন বসতি গড়ে উঠছে যেটি একসময় চিন্তা করা যায়নি। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসের একটি মাত্রা আছে, ঘনত্ব আছে এবং নিয়ম আছে। তিটি ভূমির নিজস্ব একটি ধারণ ক্ষমতা আছে। ধারণ ক্ষমতার মাত্রা অতিক্রম করলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে এটাই স্বাভাবিক। পরিবেশ অধিদপ্তরকে এসব বিষয় আমলে নিতে হবে। নজরদারি করতে হবে অতিরিক্ত অবকাঠামো গড়ে উঠছে কিনা। সরকারকে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি সচেতনতা তৈরি করতে হবে বাসিন্দাদের।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com