1. : admin :
দেশে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে - দৈনিক আমার সময়

দেশে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে

আমার সময় ডেস্ক
    প্রকাশিত : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩

আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। ওই সময়ে ভোট হলে নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ফলে বিএনপি অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের ফল দেখতে চায়। এবার নির্বাচন থেকে বাইরে থাকলে বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়বে-এমন চিন্তা দলটির নেতাদের অনেকের মধ্যে রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এবার ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাষ্ট্র গত মে মাসে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকেরাও বেশ তৎপর বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি মনে করছে, সামনের দিনগুলোতে সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ তাদের জন্য আগামী নির্বাচনকে দেখছে ভিন্নভাবে। রাজপথে বিরোধী দলকে একতরফাভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়া হবে-এমন অবস্থানে আওয়ামী লীগও নেই। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শুরু থেকেই পাল্টা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলও। ঘেরাও, পদযাত্রা ও বড় সমাবেশের মতো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে বিএনপি। কিন্তু মাঠে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে, সেই চিন্তাও রয়েছে দলটিতে। এখন মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বাধা এলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, দলটি সেই আশঙ্কাও করছে। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ। দেশের সাধারণ মানুষ, নাগরিক সমাজের পাশাপাশি এখন আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের নির্বাচন বেশ সাড়া ফেলেছে। গত দেড় দশকে বাংলাদেশে যখনই কোনো সাধারণ নির্বাচন এসেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখনই দৃষ্টি রেখেছে বাংলাদেশের দিকে। এর পেছনের একমাত্র কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘মোড়লগিরি’-এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ রয়েছে বাংলাদেশে। তারা সবাই চায় তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা। সড়কজুড়ে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বিপদে পড়ে ঢাকার কর্মজীবী মানুষ। এতে সড়কে গণপরিবহনের ভয়াবহ সংকট দেখা দেয়। সাধারণ মানুষকে হেঁটে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। জরুরি পরিবহন বন্ধ থাকে। ফলে অনেক কষ্ট করে রোগীদের হাসপাতালে নিতে হয়। রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো না থাকলে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তথা ব্যবসা, বাণিজ্যও তার ভুক্তভোগী হবে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পাড়ে তার আশঙ্কা করাই যায়। দেশের অর্থনীতি বর্তমান অবস্থায় হরতাল, অবরোধ এসব পুরোনো কৌশলের আঘাত সইতে পারবে না। অর্থনীতি ও ব্যবসার সমৃদ্ধি, বিকাশের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সব দলেরই শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দলীয় কর্মসূচি, সভা-সমাবেশ পালন করতে হবে নাহলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হবে এতে প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয় ও আন্যান্য ক্ষেত্রেও। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে দৃশ্যমান উত্তাপে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com