বর্তমানে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসূচক কমেছে বলে মনে হলেও ভিখারি কমেনি। আধুনিক যুগে যাদের স্থায়ী আয় আছে, সঞ্চয় আছে এবং ব্যাংক ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা আছে তারা বেশি বেশি উঁচু বাড়ি বানাচ্ছেন বা কিনছেন। অর্থাৎ, যাদের স্থায়ী আয় করার যোগ্যতা আছে তাদের কাছে উন্নয়ন অনুভবটা সুখকর। কিন্তু যারা ভাসমান, ভিখারি, বেকার অথবা উচ্চশিক্ষিত হয়েও বহু বছর ধরে একটি চাকরির জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের প্রকৃত অবস্থা নিয়ে কোনো ভাবনার অবকাশ নেই তাদের মধ্যে। তারা বড় বড় বাড়িতে থাকছেন, দামি এসি গাড়িতে বা দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু মিসকিনকে দান-খয়রাত ও সঠিকভাবে সরকারি কর প্রদানের বেলায় দারুণ কিপ্টেমি করতে দ্বিধা করেন না। এসব বিত্তশালীর সীমাহীন আয় ও পথে ঘুর বেড়ানো ভিখারির আয় সম্মিলন করে গড় করে গোটা দেশের মাথাপিছু আয় নির্ধারণ করা হয়।
অর্থনীতিবিদরা অনেকেই কোন অসম আয়ের দেশের জনগণের মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধিকে শুভঙ্করের ফাঁকি ও এক ধরনের প্রতারণা বলে মনে করেন। দেশে দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে এটা এখন দিনের মত সত্য। একদিন বাংলাদেশ হবে সম্ভবনার এবং স্বপ্ন পূরনের মহা অঙ্গীকার। তবে এত উন্নয়ন এত প্রবৃত্তির পরেও শিক্ষিত শ্রেণীর কর্মসংস্থান আশানুরূপ বাড়েনি। নেই পরমতসহিষ্ণু। বরং মানুষ দিন দিন হয়ে উঠছে নিষ্ঠুর ও কঠোর। যেন মাটির নয় ইট পাথরের গড়া মানব। সুতরাং এই খাতে আরো বেশী গুরুত্ব দেয়া দরকার। কেননা আমাদের সীমিত সম্পদ তাই বিরাট এই জনগোষ্টিকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতে হবে।
কৃষি এবং শিল্পখাতে ক্রম রূপান্তর খুব প্রয়োজন। কেননা আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি, আর এই লক্ষ্যে একটা সিষ্টেমের মধ্যে সবাইকেই আসতে হবে এবং সবাইকে আইন মানার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। পরমতসহিষ্ণু হতে হবে। আয় এবং সম্পদের বৈষম্য কমাতে হবে। একটা বিপুল জনগোষ্টিকে বাইপাস করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া মোটেও সম্ভব নয়। এছাড়াও মুসলিম ধর্মে মুসলমানদের জন্য যাকাত প্রদানের বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করা। অনেক মুসলিম রয়েছেন যারা, যাকাত প্রদানের বেলায় বেশ উদাসীন। তবে মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই ধনীদের সম্পদে দরিদ্রদের অধিকার রয়েছে।’ তাই দেশের লক্ষ্যে দেশের মানুষদের কথা ভেবে ধনী গরিব সকলকে একত্ত্ব হয়ে কাজ করতে এবং বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে হবে। প্রত্যেক বাঙ্গালিকে অবস্যই স্বাধীনতার মান ধরে রাখতে হবে।
Leave a Reply