ঢাকার সাভারে একটি হাসপাতালে প্রবেশ করে রোগীকে মারধর ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। এঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
০৪ জুন (সোমবার) দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন সেই ভুক্তভোগী নারী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিব আসলাম (৩২) আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
ভুক্তভোগী নারী আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় একমাত্র সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তার স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি নিজে নবীনগরের একটি মার্কেটে রেঁস্তোরা পরিচালনা করেন। ২ বছর আগে রেঁস্তোরায় যাওয়া আসার সুবাদে আসামি সাকিব আসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আসামি সাকিব। স্বামী-সন্তান আছে জানালেও তাদের ছেড়ে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে চাপ দেয় আসামি। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে খারাপ প্রস্তাব, ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে থাকে সাকিব। এর মাঝে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার এলাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয় ভুক্তভোগী।
গত ২ জুন (শুক্রবার) রাতে আসামি সাকিব আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার ধামসোনা ইউনিয়নের বগাবাড়িস্থ শাহরিয়ার নামক একটি বেসরকারী হাসপাতালের ৩০১ নং কেবিনে গিয়ে প্রবেশ করে দরজা আটকে দেয়। এসময় অসুস্থ্য ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টা চালায় সাকিব। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলে ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে জখম করে। এসময়, তার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান পিপিএম (ওসি) দৈনিক আমার সময়-কে মুঠোফোনে বলেন, তদন্ত চলছে। আসামী এখনো আটক হয় নাই। আসামি সাকিব পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলার পূর্বে দুটি সাধারণ ডায়েরী ও ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যস্ততার জন্য তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল করলেও তিনি আর ফোন তোলেননি।
Leave a Reply