গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে খমিরন সাবান শিক্ষাবৃত্তি প্রদান উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার উপজেলার বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্পন্দনবি এর আয়োজনে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবীব খোকনের সভাপতিত্বে খমিরন সাবান শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন স্পন্দনবি এর ডেপুটি কান্টি ডিক্টের মো. মোস্তাফিজুর রহমান। খমিরন সাবান শিক্ষাবৃত্তি পরিবারের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম শান্তর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্পন্দনবি এর সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার মো. রাজিবুল ইসলাম, বেলকা মজিদপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, বেলকা মনিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সালেমা বেগম, বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম, ভাটি কাপাসিয়া সেসিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক, বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, বেলকা মনিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম প্রমূখ।
পরে গত ২০২৪ শিক্ষা বর্ষের বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলকা মনিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৪ জন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি হিসেব নগদ অর্থ এবং একটি করে ঘড়ি প্রদান করা হয়। এর আগে শিক্ষা বৃত্তির পরিসর বৃদ্ধি করার লক্ষে উপজেলার ২২টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন স্পন্দনবি। চলতি ২০২৫ শিক্ষা বর্ষে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবি শিক্ষার্থীদের খমিরন সাবান শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।
(ছবি সংযুক্ত)
কঞ্চিবাড়িতে উপজেলা বাস্তবায়নের দাবিতে সম্মেলন
হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়িতে পৃথক উপজেলা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার প্রস্তাবিত কঞ্চিবাড়ি উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবিত কঞ্চিবাড়ি উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. মনোয়ার আলম সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে এবং সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল ইসলাম প্রমানিক, শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম মিজানুর রহমান, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী মোস্তফা মাসুম, শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল, কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া, ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমান, চন্ডিপুর এফ হক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম, ধুবনী কঞ্চিবাড়ি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুব আলম , মতিয়ার রহমান কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুর রহমান, বেলকা মজিদপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, ধুবনী কঞ্চিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মাসুদুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বদরুল আমিন, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. সাজ্জাদুর রহমান, সমাজসেবক মো. শরিফুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
বক্তাগণ বলেন, পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরিসর। উপজেলার পূবাঞ্চলের লোকজন ৪৫ কিলোমিটার দূর থেকে গিয়ে উপজেলা পরিষদে সেবা গ্রহণ করে থাকেন। সে কারণে পূবাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়ন বাসির দাবি কঞ্চবাড়িতে পৃথক উপজেলা বাস্তবায়ন করতে হবে। কঞ্চিবাড়িতে একটি মডেল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাথমিক স্কুল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ জেলা শহরের সাথে গ্রামীণ হাইওয়ে সড়কের যোগাযোগ রয়েছে। সবমিলে প্রস্তাবিত কঞ্চিবাড়িতে পৃথক উপজেলা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান বক্তাগণ।
Leave a Reply