পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে প্রতিটা মেয়ের বাবাই চায় তার মেয়ের বাড়িতে ইফতার সামগ্রী ও ফল পাঠাতে। এ নিয়ে সমাজে বিতর্ক থাকলেও মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ইফতার পাঠানোটা এখন পর্যন্ত রীতিতে রয়ে গেছে। সামাজিক আন্দোলন শুরু হলেও এই নিয়মে অনেকক্ষেত্রেই চাপ প্রয়োগ করা হয় মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে।
এসব বিষয় চিন্তা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরাবরের ন্যায় এক ভিন্নধর্মী প্রজেক্ট এর ঘোষণা দিল সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য। প্রজেক্টটির মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তের অসহায় মেয়ের বাবাদের গোপনে তার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ইফতার সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। আজ ১লা এপ্রিল (শনিবার) সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ এক ভিডিও বার্তায় এই প্রজেক্টটি ঘোষণা দেন।
এ সম্পর্কে মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, সামাজিক কোন পরিবর্তন এক রাতে সম্ভব নয়। আমরা সবাই মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসব দেয়ার বিপক্ষে। কিন্তু বাস্তবতা কঠিন। পরিবর্তন অবশ্য ই হবে, তবে পরিবর্তনের এই সময়টুকুতে আমরা চাই না সামান্য এই ইফতার সামগ্রীর জন্য কোন মেয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার হোক,কোন বাবা অপমানিত হোক।
তিনি আরও বলেন, ইফতার সামগ্রী আমরা তার বাবার মাধ্যমেই মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পাঠাব। আমি ব্যতীত কেউ জানতেও পারবে না। আপনারা নির্ভয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। আমার নাম্বার আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অফিশিয়াল পেইজে দেয়া আছে।
দূর্বার তারুণ্য সামাজিক সংগঠনটি ব্যাপক সাড়া ফেলে তাদের ভিন্নধর্মী প্রতিটি প্রজেক্টে। গত বছর রোজায় ‘ফ্রী ঈদ শপিং’ প্রজেক্টটিও আলোচনায় উঠে এসেছিল। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ইফতার পাঠানোর উদ্যোগে নেটিজেনদেরও প্রশংসা কুড়াচ্ছে দূর্বার তারুণ্য।
Leave a Reply