মধ্যে গগনের জলন্ত সূর্য মাথার উপরে তাপ দিয়ে যায় অবিরত,
তৃষ্ণাতুর হয়ে ছুটে ফিরি অনবরত মিথ্যে মরিচিকার পিছে।
জলন্ত আগুন বুঝি পোড়াতেই ভালোবাসে,
দহণ শুকিয়ে দেয় অশ্রুর বর্ণমালা।
তাই বুঝি লেখা হলোনা অশ্রু দিয়ে কোন গান,
আঁকা হয়নি বেদনার কোন ছবি,
হয়নি অবেলায় হাতে হাত রাখা।
জীবন মানেই অসম্পূর্ন গল্পের খাতা,
যেখানে লেখা থাকে দীর্ঘশ্বাস, অজশ্র অশ্রজলের কাব্যগাঁথা।
জীবন যেন একটা বোবা পিচঢালা পথ,
কতজন যায়, কতজন আসে, কতজনে চালায় রথ।
জীবন মানেই দুর কোন নির্জন উপকুলে বসে পথ চাওয়া,
মিথ্যে থেকে মিথ্যের দুরত্ব কমে যায়,
সত্যর শব বয়ে বয়ে ক্লান্ত হওয়া্।
মিথ্যে মরিচিকাময় পৃথিবী তোমাকে ভালোবেসে,
শুধুই সময়ের অপচয়, প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে যাওয়া,
উদভ্রান্ত জগিতিক চাওয়া পাওয়া,
অজশ্র হিসেবের গরমিল, শুধুই দীর্ঘশ্বাস,
বুক জুড়ে ছড়িয়ে থাকে শুধুই না পাওয়া।।
তবুও চিরকুটে লিখে যাই কতশত না পাওয়া, কত ইচ্ছে,
তবুও ভালোবাসি মেঘ, তবুও শীতার্ত রাতের প্রতীক্ষায় থাকি,
বারবার পেতে ইচ্ছে করে পৌরাণিক একশত আট পদ্মের মালা।
Leave a Reply