জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ হারলেও দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভালো কাজে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম চার ম্যাচ জিতে আগেভাগেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে রেখেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ হেরে জিম্বাবুয়েকে প্রথমবারের মত হোয়াইটওয়াশের সুযোগ হাতছাড়া করে টাইগাররা। তারপরও পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।
এই সিরিজকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসাবে দেখছে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে শান্ত জানিয়েছিলেন, নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে এই সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তাই সিরিজ হার গুরুত্বপূর্ণ নয়।
পঞ্চম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ৮ উইকেটে হারের পর শান্ত বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। আমরা কোন ম্যাচ হারতে চাইনি। তবে কৃতিত্ব অবশ্যই জিম্বাবুয়েকে দিতে হবে। কারন তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিজ জয় সব সময়ই আপনার আত্মবিশ^াস বাড়াবে। আমরা সিরিজে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি এবং আমাদের উন্নতি করা দরকার এমন জায়গাগুলো খুঁজে বের করেছি। সিরিজ থেকে আমাদের কিছু প্রত্যাশা ছিল। এমন নয় যে, সব প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু আমরা কাছাকাছি যেতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বাজে ব্যাটিংয়ের কারনে প্রথম চার ম্যাচ সহজেই জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুর্হূতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং যখন জ¦লে উঠলো তখন বড় হারের লজ্জায় ডুবলো টাইগাররা। যা বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য একটা সতর্ক বার্তা।
টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শান্ত। বিশ্বকাপের আগে এই বিভাগে উন্নতির প্রয়োজন টাইগারদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে। টপ অর্ডার ভালো শুরু করলে, দল ভালো অবস্থায় থাকবে। ছন্দ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ ফিরে পাবে তারা।’
ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। সিরিজে দু’টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেন তানজিদ। ১টি অর্ধশতকে ১৪০ রান করেন হৃদয়। শেষ ম্যাচে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করলেও তানজিদ-হৃদয়ের মত ধারাবাহিক ছিলেন না অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। ব্যাটারদের অধারাবাহিকতার কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাঁচ ম্যাচের কোনটিতেই বড় স্কোর করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম ভরসা হলেও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি বলে মনে করেন অধিনায়ক শান্ত। পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৮১ রান করা শান্ত বলেন, ‘আমার পারফরম্যান্স যতটা আশা করেছিলাম ততটা ভালো হয়নি। পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। একজন ব্যাটার সব সিরিজে ভালো করতে পারে না। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ এখন অতীত। আমি পরের সিরিজে ভালো করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’
দলের মধ্যে কোথায় উন্নতি করতে হবে সেগুলো সম্পর্কে সিরিজ চলাকালীন ধারনা পাওয়ায় খুশি শান্ত। তিনি বলেন, ‘ইন্নতিন জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কিছু ধারনা পেয়েছি। স্পিনাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এবং মাহেদি প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমরা তানভির ইসলামকেও খেলিয়েছি এবং সেও ভালো করেছে। এগুলো অনুপ্রেরণাদায়ক।’
সিরিজে কিছু ম্যাচ বাংলাদেশ লড়াই করে জিতেছে বলে খুশি শান্ত, ‘আমরা কিছু ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। যা আমাদের প্রয়োজন ছিল। এমন ক্লোজ ম্যাচ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কারণ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে এমন ক্লোজ ম্যাচ পাবো। আমরা যেভাবে ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি, তাতে আমাদের মনোবল চাঙ্গা থাকবে।’
Leave a Reply