ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. হাবিবুর রহমান (৩৯)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মুক্তাগাছার চাঞ্চল্যকর ছোট ভায়রা হাবিবুর রহমান কর্তৃক বড় ভায়রা বাবুল (৩৭) খুনের মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান। হাবিবুর মুক্তাগাছা উপজেলার কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র।
তিনি ১১ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১৪ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তাগাছার মহেশবাড়ী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসেন দুই ভায়রা আবুল কালাম বাবুল ও হাবিবুর রহমান। তখন বাবুল তার পাওনা টাকা ফেরত চান হাবিবুরের কাছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর কাচের বোতল দিয়ে বাবুলের মাথায় আঘাত করেন। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাবুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। এই ঘটনায় ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল ভিকটিমের বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২৬ দিন পর ভিকটিম বাবুল মৃত্যুবরণ করে।
দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০২৩ সালের ১৮ মে হাবিবুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হাবিবুর হত্যার কথা স্বীকার করেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply