1. : admin :
বিমানবন্দরে অটোরিকশা সিন্ডিকেটের শিকার যাত্রীরা - দৈনিক আমার সময়

বিমানবন্দরে অটোরিকশা সিন্ডিকেটের শিকার যাত্রীরা

নাজমুল মন্ডল, ঢাকা 
    প্রকাশিত : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
 রাজধানীর বিমানবন্দর  এরিয়ায় অটোরিক্সা ও প্যাডেল চালিত রিক্সা  সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা, ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হোটেল মালিকরা, গত প্রায় দুই বছর যাবত এই সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছেন বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ী মানিকগন,তারা বলেন গত দুই বছর পূর্বে আমাদের হোটেলের যে ব্যবসা হত তা এখন আর হয় না , বর্তমানে আমরা দুই বছর যাবত একটি অসৎ দালাল চক্র,  অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকদের সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছি এতে আমাদের ব্যবসায়ের অনেক ক্ষতি হচ্ছে, এসব রিক্সা চালক এবং কতিপয় দালাল চক্র মাসোয়ারার ভিত্তিতে এবং কমিশনের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষদেরকে হয়রানি ও প্রতারণা করে আসছে এতে করে আমরা যারা হোটেল মালিকরা আছি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমাদের হোটেল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের প্রতি একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের পাশেই সারিবদ্ধভাবে অটোরিক্সা দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু এ সকল অটোরিক্সা ও রিক্সা  প্লাটফর্মের বাইরে দাঁড়ানোর সঠিক কোন নিয়ম নেই, তাছাড়াও রেল ক্রসিং পার হয়ে বাস কাউন্টার বিমানবন্দরের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এসব অটোরিক্সা ও প্যাডেল চালিত রিক্সা , এসব অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকরা গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষ এবং  প্রবাসীদেরকে টার্গেট করে  বিভিন্ন ধরনের কথা বলে তাদের পছন্দ অনুযায়ী হোটেলে নিয়ে যায় এবং ঐ সকল হোটেল থেকে একটি কমিশন পান, যেখানে একটি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, সেখানে তারা ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা নিচ্ছে এত করে ওই সকল অটো রিক্সা চালকগণ ৫০০- ৬০০ টাকা কমিশন পাচ্ছে। এতে  সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে এবং হোটেল ব্যবসায়ীদের প্রতি বিরূপ চিন্তা ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বিমানবন্দর এলাকায় অবাধে ঘরে উঠেছে শতশত আবাসিক হোটেল যার অধিকাংশের নেই কোন কাগজপত্র এমনটাই দাবি করেন আবাসিক হোটেল মালিকদের সভাপতি ও সেতু ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এর মালিক  শহিদুল ইসলাম, তিনি বলেন আমরা যারা সকল ধরনের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করছি তারা এসব রিক্সা ও অটোরিক্সা সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছি, কিছু অসাধু চক্রের সহযোগিতায় রিক্সা চালকগন কমিশনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী হোটেলে যাত্রী নিয়ে যায় এবং আমাদের হোটেল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে।
মারিয়া আবাসিক হোটেল এর মালিক মুনির হোসেন বলেন অটোরিক্সা সিন্ডিকেটের কারনে আমাদের ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, কিছু দালাল চক্রের মাধ্যমে একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে তারা এমনটা করছে, যেখানে একটা সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা সেখানে তারা ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা সাধারণ মানুষের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে, এতে অটোরিক্সা ও রিক্সা চালক একটা কমিশন পাচ্ছে, যেখানে  এসব অটোরিক্সা ও রিক্সা রেল ক্রসিং পার হয়ে বাস কাউন্টার ও বিমানবন্দরে প্রধান ফটকের সামনে প্রবেশ করে দাঁড়িয়ে থাকে এবং তাদের নিদিষ্ট করা হোটেলে গ্রাম থেকে আসা সহজসরল মানুষকে ও প্রবাসীদেরকে নিয়ে যায়।
মদিনা আবাসিক হোটেল এর মালিক মামুন মিয়া বলেন প্রথমে আমরা নিজেরাই সমাধান করার চেষ্টা করি কিন্তু তারা প্রভাবশালী হবার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, যেন এই অটোরিক্সা সিন্ডিকেট দ্রুত বন্ধ হয়।
বিমানবন্দর থানা ট্রাফিক বক্সের টিআই মোঃ ইউনুস বলেন এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, দিনের বেলা আমাদের ফোর্স থাকে, রাতে থাকেনা।
বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া বলেন অটোরিক্সা চলাচলের আইনগত কোন বৈধতা নেই,মাঝে মধ্যে গভীর রাতে রেল ক্রসিং পার হয়ে এপারে চলে আসে, চোখ ফাঁকি দিয়ে হয়তো চলে আসে এগুলো অহরহ আসার সুযোগ নেই, এটা হাইওয়ে রোড যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আর হোটেল মালিকরা যদি কোন অভিযোগ দেয় তাহলে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com