–রানা বর্তমান
সাহিত্যিক ও নির্মাতা
আপনার চোখের সামনে যারা সফল আছেন কিংবা হয়েছেন তারা অধিকাংশ গরিব, অর্ধ শিক্ষিত এবং লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছিলেন। অনেক দিন ধরে আমার বেকার মস্তিষ্কে আটকে আছে, তাহলে কেন মানুষ বিস্তার পাঠ্যবই পড়ছেন। আসলে শুধু বই পড়ে, মুখস্ত কিংবা ঠুঠাস্ত করে জিবন বদলানো সম্ভব নয়, খুব মেধাবী হওয়াও সম্ভব নয়। তাই বলতেই হবে- বই পড়ে জিবনের খুব একটা কাজে আসে বলে মনে হয়না। বই পড়ে জ্ঞানী পন্ডিত হওয়া সম্ভব নয়। বই পড়ে নিজেকে চেন্স করা সম্ভব নয়। হাসছেন! অবাক হচ্ছেন! একটু বিচলিত হওয়ারই কথা। হ্যা বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা করতে হবে অরথাৎ পড়ার সময় নিজ থেকে গবেষণা মুলক পড়ার অভ্যাসটা চালু করতে হবে। আমারা শুধু পড়তে অভাস্ত কিন্তু গবেষণা করিনা। আমারা শুধু মুখাস্ত করতে অভাস্ত কিন্তু গবেষণা করিনা। যে লেখাটা পড়ছেন সে বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে, গভির থেকে গবেষণা করতে হবে। তাহলে জিবনে আর্থিক সফলতা না আসলেও পন্ডিত কিংবা জ্ঞানী হওয়া সম্ভব। আমাদের দেশের মুসাবিন সমশের, শাকিব আল হাসান, আফরান নিশো কিংবা শাকিব খান সবার খবর নিন তারা পড়াশুনায় কতটা ভালো ছিলেন কিংবা সফল হয়েছেন একটু জানুন। এনাদের ব্যাতি রেখে আপনার পাশের চেনাজানা পরিচিত অর্থশালী, সম্পদওয়ালার খবর নিন, দেখবেন নিন্মবৃত্ত কিংবা মধ্যবৃত্ত থেকেই সে আজ সফল। সে আজ পতিষ্ঠিত। কি তারা কি বই পড়ে সফল হয়েছেন! অবশ্যই না। মনে রাখবেন বই পড়ে ভালো বক্তা হওয়া যায়। বন্ধুদের সঙ্গে বেশ আড্ডায় গল্প বলে ব্যাস্ত থাকা যায় কিন্ত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি গভির চিন্তা করা যায়। বিষয়টার মধ্যে ডুবে থাকা যায়। সাবজেক্টটির পা থেকে মাথা পর্যন্ত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা যায় তাহলে খুব বেশি লাভবান না হলেও জ্ঞানী হওয়া যায়। আমরা পড়তেই অভাস্ত কিন্ত গবেশনা করতে নই। তাই জীবনের জন্য, জীবনের সফলতার জন্য এবং মানবসভ্যতার বিকাশের জন্য অবশ্য ই প্রয়োজন বই। বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা করতে হবে, গবেষনা করে বই পড়লে, বই লেখাও সম্ভব তাই সুযোগ হলে বই লিখতে হবে এবং পড়ার সাথে সাথে বইয়ের সঙ্গে করতে হবে আমাদের গভির সম্পর্ক। মনে রাখবেন বই আমাদের জীবনের পরম বন্ধু। বই গবেষনা করে পড়লে- জীবনের পরতে পরতে এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। তাই আমাদের মনে রাখা উচিৎ বইয়ের প্রতিটি বিষয় পড়ার সময় গবেষণা করতে হবে। পড়ার সাথে গবেষণা করলে জ্ঞানের মজুদ বাড়ে। গবেষণা মুলক পড়াশুনা হলো সৃজনশীল এবং পদ্ধতিগত কাজ। গবেষণায় একটি বিষয়কে বোঝার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ সহ বিশ্লেষণ করতে হয়। এতে পক্ষপাত এবং ত্রুটির উৎস নিয়ন্ত্রণ করার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো বাস্তবিক কোনো বিষয়ের সমস্যার সমাধান করা। গবেষণা একটি ধারাবাহিক কার্যপ্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তাই বর্তমান সময়ের সাথে আমাদের যেকোন বিষয়ে পড়ার সঙ্গে গবেষণায় ডুব দেওয়ার অভ্যাসটা চালু করতে হবে, যদিও বিষয়টা প্রথম প্রথম কঠিন মনে হবে কিন্তু একটা ক্ষনে সহজ হয়ে যাবে নিশ্চয়ই।
Leave a Reply