উইম্বলডনের শিরোপা জয় যেন অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। উইম্বলডন শিরোপা জিতলেই প্রতিবার কোর্টের কিছুটা ঘাস ছিড়ে মুখে পুরে চিবিয়ে নেন এই সার্বিয়ান তারকা। গত চার আসরে এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু হাঁটুর বয়সী কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে এই দফায় পুরনো সেই দৃশ্যর অবতারণা হলো না। বরং দেখা গেল অন্য এক জোকোভিচকে। যিনি পরাজয়ের পর কাঁদলেন। রবিবারের ফাইনালে জোকোভিচকে যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি! প্রচুর ভুল করেছেন ম্যাচজুড়ে। ঘাসের কোর্টে খোলা আকাশের নীচে খেলার সুযোগ পেয়েও অবশেষে তারুণ্যের কাছে হেরে গেলেন। এরপর তাকে হতাশায় র্যাকেট ভাঙতে দেখা যায়। ম্যাচ শেষে ভেজা চোখে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে ৩৬ বছর বয়সী জোকোভিচ বলেন, ‘ওখানে আমার ছেলে বসে আছে। দেখে ভালো লাগছে যে ওরা এখনও হাসছে। তোমাদের সবাইকে আমি ভালবাসি। আমার পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।’ ২০ বছর বয়সী আলকারাজের প্রশংসা করে জোকোভিচ দ্বিধাহীন ভাবে বলেন, ‘ভেবেছিলাম এতদিন ক্লে কোর্ট বা কখনও কখনও হার্ড কোর্টে তোমার বিপক্ষে খেলতে সমস্যা হবে। এখন তো দেখছি ঘাসের কোর্টের সঙ্গেও দারুণ ভাবে মানিয়ে নিয়েছ। আমার লড়াই আরও বাড়ল। এর আগে মাত্র এক-দুইবার তুমি এই কোর্টে খেলেছ। এই টুর্নামেন্টের আগে ঘাসের কোর্টে দুই-একটা টুর্নামেন্টও জিতেছ। তবে তুমি এত তাড়াতাড়ি ঘাসের কোর্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে ভাবতে পারিনি।’ তবে জোকোভিচ কথা দিয়েছেন যে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন, ‘অনেকগুলো ফাইনালেও হারের মুখ থেকে জিতেছি। তাই এবার মনে হয় শোধবোধ হয়ে গেল। হয়তো কাল সকাল থেকে এটা নিয়ে ভাবব। আজ সেটা সম্ভব নয়। আসলে এ ধরনের মুহূর্তের জন্যে আমরা প্রতিদিন লড়াই করি। বড় মঞ্চে খেলার অপেক্ষা করি। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল সবচেয়ে বড় মঞ্চ। আজ নিজের থেকে ভালো খেলোয়াড়ের কাছে হেরে গেছি। কোনো দুঃখ নেই। এই ঘটনা ভুলে এখন এগিয়ে যেতে হবে।’
Leave a Reply