বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শরীয়তপুরবাসী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শরীয়তপুর জেলা ফরিদপুরের মাদারীপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল, বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর জন্মস্থান এখানে আর তাঁর নাম অনুসারে ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর এই জেলার নাম শরীয়তপুর করা হয় সেই শরিয়তপুর এর জাজিরা ও পালংবাসীর উদ্দেশ্য আর এক সমাজ সংস্কারক, লেঃ কর্নেল (অবঃ) নজরুল ইসলাম রাসেল তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সর্ব প্রথম কুশলাদির প্রাক্কালে এলাকাবাসীকে অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা সহ কুশল বিনিময় করেন।
তার খোলা চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলঃ
প্রিয় জাজিরা ও পালংবাসী, সর্বপ্রথম সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ সহ আমার প্রাণপ্রিয় জাজিরা ও পালংবাসীর প্রতি রইল শতসহস্র সালাম ( আস্সালামু আলাইকুম) ও অন্যান্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি রইল ভালোবাসা ও শুভকামনা। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলবো ইতিপূর্বে আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, অনলাইন পত্রিকা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বদৌলতে, সন্মানিত জাজিরা ও পালংবাসীরা প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে আমি কি সেবা দিতে পেরেছি সে সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করার মত কিছু নাই, আর আমি সে বিষয়ে কিছু বলছি না । তবে যে, বিষয় গুলো আপনাদের সবার জানা খুবই প্রয়োজন । তার আংশিক কিছু আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবো মাত্র। আপনাদের আদর সোহাগ ভালবাসা পেয়ে আমি যে ভাবে আপনাদের অন্তরে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে স্থান করে নিতে সক্ষম হতে পেরেছি তা একটি কুচক্রী মহল মেনে নিতে পারছিল না। তাই অত্যন্ত সুকৌশলে একটি কালোপানির স্রোতের সাথে আমার গতিপথটাকেও একটি দুর্বল নোংড়া রশি দিয়ে বেধেঁ গহীন সাগরের অতলে নিমজ্জিত করতে চেয়েছিল কিন্তু আপনাদের একান্ত ভালবাসা আর আন্তরীক দোয়ায় সে রশি ছিড়ে আমার অবস্থানটা আগের স্থানেই যে অবিচল আছে তা আমি প্রমান করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ । আমি বা আমরা কেউ-ই ভুলের উর্ধ্বে নই, গুরুজনদের কাছ থেকে শিখেছি, ভুল করলে ক্ষমা করা যায় কিন্তু বেয়াদবি আর বেঈমানি করলে তা ক্ষমা করতে নেই।মনের অজান্তে যদি আপনার বা আপনাদের কাছে কোন ভুল করে থাকি তা নিজ সন্তান বা ভাই, বন্ধু,আপনজন মনে করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সামাজিক কারণে ,সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে,আপনাদের সু-পরামর্শে আপনাদের সম্মুখে দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে তা আমি অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছি আর সে জন্য আমি আন্তরীকভাবে দুঃখীত ও অনুতপ্ত ।
আমি আগামী দিনগুলো আপনাদের সাথে থেকেই পথ চলতে চাই । আপনাদেরকে সাথে নিয়ে দালাল মুক্ত সুন্দর একটি সমাজ গড়তে চাই।দালাল গুলো সমাজের অভিশাপ ও সিন্ডিকেট প্রথার জনক।তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও কিন্তু কম নয়, এরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্বেও প্রতিবাদ না করার কারণে ওরা আজ বেপরোয়া।
আমি একথাও বিশ্বাস করি যে, মিছিল টা যদি সত্যের হয়, সেই মিছিল একা শুরু করলেও গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে দেখা যায় পিছনে সত্যের সেনানীরা অবিচল,অবিরত ।
কেউ যেন তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না হয়, কেউ যেন মিথ্যা হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার শিকার না হয়,একটি মিথ্যা মামলা ধ্বংস করে দেয় একটি পরিবার, ভেঙ্গে দেয় একটি স্বপ্নকে ।
আমরা অনেকেই সমাজ কে বদলে দিতে চাই, কিন্তু কেউ নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইনা। আসুন হাতে হাত রেখে সোচ্চার হই, যার যার ন্যায্য পাওনা, সে ভোগ করবে এটাই নিয়ম এটাই আইন হোক।কারো মান সন্মান আর অস্তিত্ব নিয়ে, স্থানীয় নামধারী নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা শোষকরা যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে দিকে আমরা সম্মিলিতভাবে সোচ্চার হই, গড়ে তুলি সমাজ সংস্কারের দুর্বার আন্দেলন । ওদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এখন সময়ের দাবী।আজন্ম যোদ্ধা এবং একজন প্রতিবাদী সেনাপতি হিসেবে যারা আমাকে চেনেন ও জানেন,আসুন–ঐক্যবদ্ধ শক্তি-ই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে।একজন প্রতিবাদী সৈনিক হিসেবে কথা দিচ্ছি, সহযোগিতা করুন,ওদের মুখোশ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরব, আইনের কাঠগড়ায় ওদেরকে দাঁড় করিয়ে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। হোক প্রতিবাদ, সকল অনিয়ম অত্যাচারের বিরুদ্ধে ।পরিশেষে পবিত্র মাহে রমজানের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন শুভকামনা ও ভালোবাসা অবিরাম,
ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।
Leave a Reply