1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
নেশায় ডুবে পথভ্রষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ - দৈনিক আমার সময়

নেশায় ডুবে পথভ্রষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ

আমার সময় অনলাইন
    প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪

সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ মাদক। মাদকাসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি, সর্বগ্রাসী মরণনেশা।  বর্তমানে এ সমস্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বিশ্বব্যাপী, বাংলাদেশেও রয়েছে এর ব্যাপক বিস্তার। তরুণরা মাদকে আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বিনষ্ট হচ্ছে অসংখ্য পরিবারের স্বপ্ন এবং সামাজিক শৃঙ্খলতা। মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া এর অন্যতম কারণ। পাশাপাশি পরিবারের নজরদারি ও সুশিক্ষার অভাবে সন্তানরা সহজেই জড়িয়ে পড়ছে এ ভয়ঙ্কর মরণব্যাধিতে। সর্বনাশা মাদকদ্রব্য আমাদের গোটা সমাজকে গ্রাস করে চলেছে। এর শিকার যুব-তরুণ সমাজ। মাদক নিয়ে অতীতে অনেক লেখালেখি হয়েছে, এখনো হচ্ছে। মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। এর পরও সেখানে মাদকের কারবার রমরমা। বর্তমানে আগের চেয়ে বেপরোয়া। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে এমন কোনো পেশা নেই, যেখানে মাদক নেই। মাদকাসক্ত তরুণদের মধ্যে শিক্ষিতের হারই বেশি। অল্প বয়সে তারা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, অনেকে শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে যাচ্ছে। দেশের সর্বত্র মাদক এখন অনেকটা সহজলভ্য। শহর-নগর, গ্রামসহ মফস্বল এলাকায়ও হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, আফিম, চরশ, বাংলা মদ, গুল, মরফিন, কোকেন, হেরোইন, প্যাথেলিন, মারিজুয়ানা, ডেক্রপরটেন, প্যাথেড্রিন, কোকেন, ইকসটামি, এলএসডি, ইলিকসার, চোলাইমদসহ রকমারি মাদকের সঙ্গে তরুণদের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। একজন মাদকাসক্ত সন্তানের কারণে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেই সন্তানকে নিয়ে পরিবারগুলো দিশাহারা হয়ে পড়ছে। এমনকি ফলশ্রুতিতে এর বিষাক্ত কামড়ে অকালে ঝরে পড়ছে বহু তাজাপ্রাণ। শূন্য হচ্ছে অনেক মায়ের বুক। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোতে এখন শুধু শোকের মাতুম। নেশায় ডুবে পথভ্রষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ। তবে কারা সৃষ্টি করছে এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি? কারা ছড়িয়ে দিচ্ছে এ ভয়ানক আতঙ্ক। আজ আমরা এমনই এক বৈরী পরিবেশে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি। বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও এর সরবরাহকারীদের আইনের আওতায় আনা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে বড় একটি অংশ। ফলে পুলিশের একার পক্ষে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই মাদক নির্মূল করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতা ও মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে। অবৈধ মাদকদ্রব্যের সরবরাহ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বদা তৎপর থাকতে হবে। মাদকদ্রব্য দ্রব্য উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করতে হবে। মাদকদ্রব্যের ব্যাপ্তি কমাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তবেই দেশের যুবসমাজ রক্ষা হবে এবং সার্বিক উন্নয়নের অগ্রগতি হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com