1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
আমেরিকায় রেমিট্যান্স আয়ের সম্ভাবনাময় খাত মেডিকেল টেকনোলজি - দৈনিক আমার সময়

আমেরিকায় রেমিট্যান্স আয়ের সম্ভাবনাময় খাত মেডিকেল টেকনোলজি

নিজেস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স। প্রায় অর্ধ শাতাব্দিধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্বাস্থ্যসেবায় ভুমিকা রেখে আসলেও যথার্থ মর্যাদা পায় নি। কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করাও হয়নি।এজন্য গুরুত্বপূর্ণ শাখায় শিক্ষিত ও দক্ষ জনবল বাংলাদেশের বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য বিদেশ যাত্রার চেস্টা করে চলেছে।কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশের বাইরে যাচ্ছে।দেশে ফেরত আসছে না।ফলে মেধাবীরা দেশে থাকছে না।রোগ নির্নয়ের জন্য বি এম ডি সি স্বোকৃত ডাক্তার ছাড়া আর কোন জনবল অনুমোদিত নয়।অথচ রোগ নির্নয় জনবল হিসেবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাবিরেটরি, রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং ইত্যাদিকে কর্মের স্বীকৃতি দেয়ার কোন প্রতিষ্ঠান সরকারের নেই।এছাড়াও গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট,সাইন্টিফিক অফিসার, বায়োকেমিস্ট, মলিকুলার বায়োলজিস্ট ইত্যাদিদের মেডিকেল ল্যাবরেটরিতে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমোদন নেই।অনুমোদনহীনভাবেই বায়োলজিকাল ঝুকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু রেখে চলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে।স্বাস্থ্যখাতের প্রভুত্বে অন্যকেউ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখুক তা যারা চায় না তারাই দীর্ঘ সময়ে এলাইড প্রোফেশনাল পেশাজীবীদের স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদান করতে বাধা দিয়ে এসেছে।এর ফলে স্বাস্থ্য সেবা পন্যে পরিনত হয়েছে।স্নাতক কোর্সধারী এসকল এলাইড প্রোফেশনালসকে কর্মের স্বীকৃতি না দিয়ে যেমন বৈষম্য করা হয়েছে তেমনি ক্যারিয়ার প্লান না থাকায় মান উন্নয়ন করার সুযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।এর মাধ্যমে সেবা গ্রহীতা বৃদ্ধি পেলেও সেবাপ্রদানকারী জনবলের সংখ্যা নগন্য।পদ সৃস্টি হয় না আবার শুন্য পদে নিয়োগ সহজে হয়না।বৈষম্যমুক্তি ও কাংখিত জীবন মানের জন্য অদ্য রবিবার আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে মেডিকেল ল্যাবরেটরি সাইনটিস্ট হিসেবে কর্মে যোগদানের জন্য দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে এ এস সিপি আই রেজিস্টার সাইন্টিস্ট শিব সংকর তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেন।জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে আমেরিকার রেজিস্টার্ড সাইন্টিস্ট সংখ্যা ১৫ জন, মিডল ইস্ট রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত টেকনোলজিস্ট সংখ্যা অর্ধশত, লন্ডনের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সংখ্যা ১০, জার্মানি, মালদিপ, মালয়েসিয়া, সিংগাপুর, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক সহ অনেক দেশের জব লাইসেন্স নিয়ে বিদেশে কর্ম সংস্থানের জোয়ার দেখা যাচ্ছে।সম্প্রসারিত হচ্ছে বাজার এবং তৈরি হচ্ছে রেমিট্যান্স আয়ের সম্ভাবনাময় খাত।স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মেডিকেল সংশ্লিষ্ট কাজে খুব ব্যস্ত থাকেন এবং জনবলের ঘাটতির কারনে এলাইড হেলথ প্রোফেশনালস দের কাজে কোন গতি থাকে না।ফলে মন্ত্রনালয় থেকে কোন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হলে অধিদপ্তরগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে না।বর্তমানে ১৩ টি সরকারি আই এইচ টি তে নতুন ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।পদসৃজন করা না থাকায় শিক্ষক ও স্টাফ সংকট অথচ ৩-৫ ব্যাচ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়রত রয়েছে।স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা মামুন বলেন কম জনবল দিয়ে এত কাজ করা সম্ভব নয় এমনকি মেডিকেল কলেজের কাজই শেষ করতে পারছি না। অন্যদেরনিয়ে কাজ করবো কখন ।ফলে সরকারের আগ্রহ থাকলেও বিশেষ কারনে অগ্রগতি হয় না।প্যারামেডিকেল শিক্ষাবোর্ড নামে শিক্ষাবোর্ড হওয়ার কার্যক্রম আলোরমুখ দেখেনি।এলাইড হেলথ প্রোফেশনালস কাউন্সিল এর কার্যক্রম ফাইল বন্ধি।পদশুন্য কিন্তু নিয়োগ বন্ধ মেডিকেল সহায়ক জনবলের।খরচ হচ্ছে বেশি কিন্তুভপরিপুর্ন সেবার জন্য প্রাইভেট সেক্টটরের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার ও সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে সেবা প্রদান বাড়ানো যায় অনায়াসে।উদাহরণ স্বরুপ- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ল্যাবরেটরি বা এক্সরে বিভাগ ৩ শিফিট চালু থাকলে স্বল্প সময়ে রোগ নির্নয় করা যেত এবং কয়েকগুন বেশি লোকের সেবা নিশ্চিত করা যেত।সরকারি আয় বাড়তো এবং মেশিন ও রিএজেন্টের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যেত।প্রতি শিফটে প্রাথমিকভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব ও রেডিওলজি নিয়োগদান এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার বা সাইন্টিফিক অফিসার পদায়ন বা পদোন্নতি দেয়া গেলে স্বল্প খরচে কয়েকগুন সেবা প্রদান, রাজস্ব আয় ও কর্মসংস্থান করা যায়।একইসাথে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত কিরতে ব্যক্তিগত ব্যয় কমানো ও দীর্ঘায়ু বাড়ানো যেত।
এলাইড হেলথ প্রোফেশনালসগন দেশে ভাল ক্যারিয়ার না পেয়ে বিদেশমুখি হচ্ছে।কেউ পি এইচ ডি নিতে দেশের বাইরে যাচ্ছে।জাপানে পি এইচ ডিতে গবেষণারত হারুন অর রশিদ বলেন দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পি এইচ ডি করার সুযোগ না থাকায় দেশের বাহিরে আসতে হয়েছে।আমেরিকায় মেডিকেল ল্যবরেটরি সাইন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত নাসির উদ্দিন বলেন বাংলাদেশ আমাকে উচ্চ শিক্ষা নিতে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পর সুযোগ প্রাপ্তিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিদেশে চলে এসেছি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়ে সাইন্টিফিক অফিসার বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার পদ তৈরি করার কোন দৃশ্য অগ্রগতি নেই।২০২৫ সাথে ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পদ সৃজন, নিয়োগবিধি ও স্ট্যান্ডার্ড সেট আপে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রেরন করা হলেও কার্যত অগ্রগতি নেই।বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ১৯৮৫ সালে মেডিকেল টেকনিসিয়ান পদ বিলুপ্ত করে দিলেও ২০২০ সালে কোভিড ১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩০০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদ তৈরির ঘোষনা দিলেও ১৮০০ টেকনিসিয়ান পদ তৈরি করা হয়।সকল ডিপ্লোমা ১০ম গ্রেডে উন্নিত হলেও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের বিশেষ কারনে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে।জনবলের অভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এলাইড প্রোফেশনালদের উন্নতিতে যথাযথ পরিকল্পনা নিতে পারছে না।এজন্য মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অধিদপ্তর অথবা এলাইড হেলথ অধিদপ্তর আলাদা করা দরকার। অন্যথায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর এলাইড হেলথ ডিরেক্টর পদসহ আলাদা জনবলের পদ সৃস্ট ও নিয়োগ দিয়ে গতিশীল করা যেতে পারে।কাজের স্বীকৃত ও যথাযথ মর্যাদা প্রদানে একাইড হেলথ কাউন্সিল গঠন করার মাধ্যমে যুগান্তকারী পদক্ষেপ কার্যকর হবে।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জনবলের অনুপাত কার্যকরা সম্ভব হবে।এখনই সময় সেবা বৃদ্ধি ও কাংখিত পরিবর্তনের

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com