1. : admin :
লাউতলা রামচন্দ্রপুর খাল পুনরুদ্ধারে ডিএনসিসির উচ্ছেদ - দৈনিক আমার সময়

লাউতলা রামচন্দ্রপুর খাল পুনরুদ্ধারে ডিএনসিসির উচ্ছেদ

আমিনুল ইসলাম বাবু 
    প্রকাশিত : শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
খালের জমিতে ১০তলা ভবন নির্মাণে রাজউক প্রশ্নবিদ্ধ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। উচ্ছেদ অভিযানে খালের অংশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণাধীন একটি ১০তলা ভবনের ৭০ ভাগসহ মোট তিনটি স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ৪০ ফুট নামক স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এসময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিতিতেএসব অবৈধ ভবন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে রামচন্দ্রপুর ও লাউতলা খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথমে খালের মোহনার জায়গা দখল করে বানানো একটি আধা-পাকা ও একটি পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় খালের পাড়ে নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ভাঙার কাজ। ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা খালের সীমানা মেপে দেখেন নির্মাণাধীন ভবনটির ৭০ ভাগই খালের জায়গার ওপর বানানো হয়েছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনটির অবৈধ অংশ ডিএনসিসি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি বুলডোজার ও এক্সেভেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অবৈধ ভবন ভাঙা হয়।
নির্মাণাধীন এই ১০তলা ভবন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, খালের জায়গার ওপর এই ভবনের অনুমতি কীভাবে দিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আমি জানি না, ভবনটি আসলেই রাজউক থেকে অনুমতি নিয়েছে কি না। অনুমতি না পেলে ভবনটি নির্মাণ হওয়ার কথা নয়। তাহলে কীভাবে রাজউক খালের জায়গায় ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করল?
আতিকুল ইসলাম বলেন, এ শহরে খালের জায়গায় কোনো ভবন থাকবে না, করতে দেওয়া হবে না। রাজউক যদি বিচার বিশ্লেষণ না করে খালের জায়গায় ওপরে এমন ১০তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়ে দেয়, তাহলে আমি বলব অবশ্যই রাজউকের কাজে অবহেলা আছে।
তিনি বলেন, অবৈধ ভবন সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কোনো বৈধ নোটিশ দেব না। সবাই জানে কারা খালের সীমানায় ভবন বানিয়েছে। ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল জনগণের। এ সীমানা কেউ দখল করতে পারবে না। ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন ভাঙার কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম।
মেয়রের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com