1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি উধাও - দৈনিক আমার সময়

রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি উধাও

মাকসুমুল মুকিম, দোহার-নবাবগন্জ ( ঢাকা)
    প্রকাশিত : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের মধ্যবর্তী (বর্ডার) এলাকায় রাতের অন্ধকারে কৃষিজমিতে চলছে অবাধে পুকুর খনন। পুকুর খননে কৃষির ধ্বংসযজ্ঞ চললেও প্রশাসন যেন কিছুই দেখছে না। নামমাত্র কিছু অভিযান চালালেও প্রভাবশালীরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এছাড়াও ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ
উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। আর বেশির ভাগই গড়ে উঠছে ফসলি জমির আশপাশে। এ ছাড়া ইট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এ জন্য দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকা মাসুম মিয়া স্কুলের চকে কৃষককে অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁদের ভয় দেখিয়ে ভেকু দিয়ে আবাদি জমির মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছে দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। এতে ফসলি জমি নষ্টের কারণে খাদ্যসংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে ট্রলি ও ট্রাকে করে এসব মাটি ইটভাটায় নেওয়ার কারণে সড়কগুলোসহ ঐ স্থানের ১৫-২০ টি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু জমি ফসলের চাষের জন্য হালও দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ স্থানের এক বাসিন্দা  বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সঙ্গে কৃষিজমি; এখানে ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু এখন আমাদের এই স্থান থেকেও মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছেন স্থানী কিছু প্রভাবশালী নেতারা।
তিনি আরো বলেন, তারা যে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের ফসলের জন্য  তৈরী করা জমির উপর দিয়ে নিচ্ছে। আর এতে আমাদের জমির ক্ষতি হচ্ছে। তারা প্রভাবশালী হওয়া আমরা কিছু বলতে পারতেসি না।
ঐ স্থানের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, আমাদের এই চকে আগে সকালে মাটি কাটতো। পরে এখন রাত ৯ টা থেকে ভোর সকাল ৬ টা পর্যন্ত মাটি কাটে ভেকু দিয়ে আর এ মাটি নেওয়া হয় ইট ভাটায়। এখানে আমাদের অনেক কৃষক ভাই জমিতে ষাঁড় দিয়েছে ফসল বোনার জন্য। তারা সেই ফসলের জমির উপর দিয়ে ট্রাক নিয়ে জমি নষ্ট করে ফেলেছে। এমনকি মাসুম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের যে ইটের রাস্তা রয়েছে তাও এই ট্রাকের কারনে ভেঙে গিয়েছে।
এ বিষয়ে জমির মালিক মো: আবেদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি জমির মাটি পাঁচ  লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি। মাটি কাটার বা বিক্রি করার অনুমতি নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা নিয়েছি এসিল্যান্ড এর কাছে থেকে। তখন কাগজ দেখতে চাইলে তিনি জানান কাগজ আছে অন্য জায়গায়।
মাটি কাটার দায়িত্ব থাকা জয় জানান, এখানে পুকুর করবে বলে আবেদ ভাই আমাদের কাছে মাটি বিক্রি করেছে। আমরা ABC,DNBD ইটভাটায় মাটি দিচ্ছি। আর সব কিছু দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান শান্ত জানেন। এছাড়াও এর সাথে জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈসান হোসেনও জড়িত আছে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান শান্তকে একাধিক বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে দোহার উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানতাম না এখন জানতে পেরেছি আমি এবিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান স্যারও বলেছেন কৃষি জমি ধ্বংস না করতে।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হালিম জানান, আমরা এ বিষয় টা জানতাম না। আপনাদের কাছে থেকে জানতে পেরেছি। আমরা এবিষয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com