১৯৭১ সালের আজকের এই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে রচিত হয়েছিল বিশ্বের নৃশংসতম গণহত্যার এক কালো অধ্যায়। কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইটে’র নামে মুক্তিকামী বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন শুরু হয় এই রাতে।
অন্যদিকে ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা করে। আর এই দিনেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল- তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
এই গুরুত্বপূর্ণ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ২ দিন ব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এ-সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আহ সকাল ৯ টায় পুরাতন সী-বীচ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
সকাল ১০ টায়, শহিদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা।
বাদ জোহর/সুবিধাজনক সময়ে সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহিদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা।
কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের উপর দুর্লভ আলোকচিত্র প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। সমগ্র জেলায় আজ রাত ১১-১১.০১ টায় ১ (এক) মিনিটের প্রতীকী ব্ল?্যাক-আউট।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে তোপধ্বনি।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল ৮ টায় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে।
সকাল ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে, প্রদর্শনী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে খেলাধুলা।
দুপুর ২ টায় বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্রে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সংবর্ধনা।
বিকাল ৩ টায় শহিদ সুভাষ হল, কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমুদ্র সৈকতে লাবনী পয়েন্টে বীচ-বাইক ও জেটস্কি প্রদর্শনী। অরুণোদয় স্কুল প্রাঙ্গণে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
বাদ জোহর সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা।
হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার, ইফতার পরিবেশন করা হবে।
Leave a Reply