অটো রিকশার দাপটে বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা। অটো রিকশার সয়লাব কুষ্টিয়া ভেড়ামারা শহরে প্রধান প্রধান সড়কে। দিনের শুরুতে যানজট নিরসনে নেই কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা যত্রতত্র পার্কিং। এই কারণে যানজটে পড়ছে ভেড়ামারাবাসী। ভেড়ামারা পৌরসভার লাইসেন্স নিয়ে চলছে কয়েকশত রিকশা, অটো রিকশা। এ নিয়ে চলছে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য। বিপুল সংখ্যক অটো রিকশার কারণে শহরে বেড়েছে যানজট। ভেড়ামারাবাসী সহ আশেপাশের উপজেলার বাসীদের ভোগান্তি। আবার প্রতিটি লাইসেন্সের জন্য দিতে হয় টাকা। বছর বছর নবায়ন করারও নিয়ম রয়েছে।
ভেড়ামারার যেদিকে চোখ যায় শুধু ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা আর রিকশা। তিন চাকার এসব বাহনের আধিপত্য ভেড়ামারা শহর জুড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। এসব বাহনের মূল তালিকা শক্তি বিদ্যুৎ। যার একটি গাড়ির চার্জ হতে সময় চলে যায় দিনের অর্ধেক সময়।
ভেড়ামারায় বেড়েই চলেছে অটো রিকশার দৈরাত্য ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে শহরের অলি গলিতে এসব রিকশার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। তবে এসব অটো রিকশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে আরো যানজটের সৃষ্টির কারণে চলাচল থেকে শুরু করে কেনাকাটা করার অবস্থা থাকবে না। সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে অন্য উপজেলায় বা জেলায় কেনাকাটা করবে। এতে ভেড়ামারার দোকান মালিকদের ওপর প্রভাব পড়বে। দিনের কর্ম ঘন্টা শুরুর পর থেকেই শহরবাসী তীব্র যানজটে নাকাল প্রতিদিন। যেদিন থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ অটো রিকশার নিবন্ধন দেয়া শুরু করে এরপর থেকেই লাফিয়ে বাড়তে থাকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। ছোট একটা শহরে এত গাড়ি ঘোড়া, রিকশা, অটো রিকশা এটা খুবই কষ্টসাধ্য। সড়কের ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি অটোরিকশা চলাচল করার কারণে এই যানজট।
Leave a Reply