জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করার জেরে তছলিম মিয়ার প্রাণনাশের হুমকি ও তার বসত ঘর উচ্ছেদের পায়তারা অভিযোগ উঠেছে চাচাত ভাই মজমুত আলীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গেলে উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের কান্দা পাড়ার মৃত আঃ ছাত্তার মিয়ার ছেলে তছলিম মিয়ার অভিযোগ করে বলেন, আমরা ১৯৭২ সালে আদালতে ডিক্রি প্রাপ্তে মালিক হইয়া ভোগদখল থাকাবস্থায়, গত ফেব্রুয়ারী মাসে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। আমাদের প্রতিপক্ষ মৃত পিতল মুন্সির ছেলে মজমুত আলী হঠাৎ তিন চার মাস আগে এসে বলে এই জমি আমাদের। গ্রাম্য শালিসির এক পর্যায়ে সে কোর্টে স্থগিত আদেশের জন্য মামলা করে। গত কয়েকদিন আগে মজবুত আলী গংরা আমার বসত ঘর ভেঙে দেওয়ার জন্য আসলে, স্থানীয়রা তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। তারা আমার প্রাণনাশের হুমকি সহ বসত ঘর উচ্ছেদের পায়তারায় রয়েছে।যে কোন সময় তারা কি করে বসে এ নিয়ে আতংকে আছি।
একই এলাকার মৃত মির্জাত আলীর ছেলে আকতার হোসেনসহ একাধিক লোকজন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখিতেছি এই জমি তছলিম মিয়ারা চাষাবাদ করে আসছে। গত জানুয়ারীতে তছলিম গংরা সেই জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাসরত রয়েছে।
বিগত দুই মাস থেকে এই জমি নিয়ে মজবুত আলী গংরা নিজেদের বলে দাবী করতেছে। বৈঠক শালিসি করেও কোন সমাধান হচ্ছে না। মজবুত আলী গংরা লোকজন বেশি থাকায় গত কয়েকদিন আগেও তছলিমদের বাড়ীঘর উচ্ছেদ করতে এসেছিলো। গ্রামবাসীদের সহায়তায় এ যাত্রায় রক্ষা হলেও, সামনে কি হয় বলা যায় না।
মজবুত আলী জানায়,বিআরএস রেকর্ডমূলে ওই জমির মালিক আমরা। তছলিম গংরা আমাদের জমিতে বাড়ীঘর করে, আবার আমাদের জমিতেই মাটি তুলার কারনে আমরা বাঁধা দিয়েছি। স্থানীয় লোকজন নিষেধ করায় আমরা আর সামনে যায়নি। তবে ওই জমি নিয়ে আমি আদালতে আশ্রয় নিয়েছি, দেখি কি হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেকে সেলিম মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দ্বন্দ্বর বিষয়টি আমি শুনেছি। এ নিয়ে আমার নিকট একটি মামলার তদন্তের ভার এসেছে। তাদের দু পক্ষকে নিয়ে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবো।
Leave a Reply