দৈনিক সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর রড, লাঠিশোটা দিয়ে হামলা করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের সড়কে এক দল মুখোশধারী তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাকে গুরুতরভাবে পেটানো হয়। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক জখম হয়েছে।
এর প্রতিবাদে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি শনিবার(২৩ মার্চ) কালেজের প্রধান ফটকে মহাখালীর আমতলী সড়কে মানববন্ধন করেন। সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিশাদের সঞ্চালনায় ও সভাপতি তাওসিফ মাইমুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরসিদ আলম, সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফয়েজ রেজা, জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার শ্বপ্না চক্রবর্তী, সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সানবিন রূপল, বিডিনিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ওবায়দুল রহমান মাসুম, ক্যাব নেতা জেমসন মাহমুদ, জিটিভির সিনিয়র প্রডিউসার তুষার জামিল। বক্তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান এবং কলেজ থেকে বহিস্কারের দাবি জানান।
আহত সাব্বির বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। আমি যেন তাদের চিনতে না পারি এজন্যই তারা মুখোশ পরা অবস্থায় হামলা চালায়।
জানা গেছে, ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করেন।
ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিতে হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সাব্বির আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।
হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হলে তারা বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ সভাপতি রিপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
Leave a Reply