1. : admin :
জন দুর্ভোগের করুন পরিস্থিতি মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ পারাপার - দৈনিক আমার সময়

জন দুর্ভোগের করুন পরিস্থিতি মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ পারাপার

সুমন চন্দ্র দে, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
মহেশখালী- কক্সবাজার নৌপথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে মহেশখালীর জেটিঘাট। যেটা বর্তমানে পরিচালনা করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আর এই প্রশাসনকেই ঘিরে এই জেটিঘাটে তৈরী হয়েছে সিন্ডিকেট। যেটার কারনে পুরো মহেশখালী বাসীর তথা আপামর জনসাধারণের দুর্ভোগের অন্যতম স্থান মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা জেটিঘাট ও কক্সবাজার ৬নং ঘাট।
আজ ১৯ই ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত মানুষ মহেশখালী জেটিঘাটে অপেক্ষমান, মহেশখালী হতে কক্সবাজার নৌ পথে পার হবে। এরই মধ্যেই ঘাটে নৌকা আছে কিন্তু নৌকা চালক নেই। এর মধ্যে নৌযান ড্রাইভারদের সিন্ডিকেট , অতিরিক্ত ভাড়ার দর কষাকষি এবং  অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌযান চলাচল।
ভোর হলেই শতশত স্পীট ভোট ও গামবোট (নৌকা) লাইন ধরে দুইঘাটে পড়ে থাকে। সাধারণ জনগণ কোন জরুরী কাজ থাকলেও বা কোন রোগী থাকলেও নৌযান ড্রাইভার ও ঘাট পরিচালক না থাকায় স্তব্ধ ও নিরাস হয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয় জেটিঘাটে। আবার এই জেটিঘাটের প্রশাসক মহাশয় নিজের ক্ষমতা বলে সন্ধ্যার পর নিজেই একাই একটি স্পীড বোট নিয়ে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার পার হন। যেখানে বিকেল ৫:৩০/৬:০০ টার পর স্পীড বোট বন্ধ থাকেন।
এদিকে সকালে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার পার হওয়ার জন্য জেটিঘাটে অপেক্ষমান শতশত নারী-পুরুষ ও রোগী। মাথা ব্যথা নেই উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের। কান্ড জ্ঞানহীন হয়ে বসে থাকেন বা দেখে থাকেন প্রশাসনের দেওয়া ক্ষতিপয় অসাধারণ প্রশাসক। যারা প্রতিনিয়ত অবৈধ উপায়ে নিজেদের এবং সিন্ডিকেট মহাশয়দের পকেট ভর্তি করছে। যেখানে ঘামবোটে যাত্রী নেওয়ার কথা ৪০ জন, সেখানে যাত্রী নিচ্ছে ৬০-৭০ জন।  তারমধ্যে ঘামবোটে কোন মালামাল নিলে অনির্দিষ্ট হারে দিতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া।
মহেশখালী সাধারণ মানুষ গোরকঘাটা জেটিঘাটে এবং গোরকঘাটা জেটিঘাটের পরিচালিত মানুষদের কাছে অসহনীয় অসহায়। শুধু এই মহেশখালীর জেটিঘাট নয়, কক্সবাজার ৬নং জেটিঘাট ঘাটেও কত যে ভোগান্তি ও লাঞ্ছিত হতে হয় তার ভাষা নেই মহেশখালী জনসাধারণের।
মহেশখালীর সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করলেও প্রশাসনের কোন সহযোগিতা নেই। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক, যাদের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকাই এই প্রশাসন পরিচালিত হয়, সেই প্রশাসনের কাছেই কোন সহযোগিতা পায় না।
মহেশখালীর সাধারণ জনগণ এই জেটিঘাটের ভোগান্তির কখন যে পরিত্রাণ পাবে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিনিয়ত প্রার্থনাই করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com