1. : admin :
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নবাগত তত্ত্বাবধায়কে বরণ - দৈনিক আমার সময়

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নবাগত তত্ত্বাবধায়কে বরণ

দিদারুল আলম সিকদার, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মানোন্নয়নে বিদায়ী তত্ত্বাবধায়কের অবদানের কথা স্মরণ করবে কক্সবাজারবাসী- বিদায়ী ও নতুনকে বরণে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার সদর রামু ঈদগাঁহ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির সভাপতিত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক ডা: মং টিংঞো এর যোগদান এবং সদ্য বদলী হওয়া তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: মোমিনুর রহমান এর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্টিত হয়- হাসপাতালের বি এন পাল কনফারেন্স হল রুমে। এতে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মোহাম্মদুল হক, দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: জি আর এম জিহাদুল ইসলাম, ডা: আশিকুর রহমান সহ প্রত্যেকটি বিভাগের ডাক্তার, নার্স ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্ধ। এতে সাংসদ হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: মোমিনুর রহমান কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিগত ২ বছরে হাসপাতালের প্রতি তার নিরলস পরিশ্রম, হাসপাতালের সেবাকে ত্বরান্বিত করতে অপ্রাণ চেষ্টার কথা তুলে ধরেন। হাসপাতালের সেবার মান বিশ্বমানের করায়, সকল রোগীকে সমান চোখে দেখে তাৎক্ষনিক সেবা প্রদান করায় পুরো কক্সবাজার বাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। পরবর্তী তে বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: মোমিনুর রহমান কে ক্রেস্ট এবং ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেন।
এছাড়াও সদ্য যোগদানকৃত তত্ত্বাবধায়ক ডা: মং টিংঞো তার বক্তৃতায় বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক এর পূর্বের কাজের সাফল্য তুলে ধরে সেই সাফল্য ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার কথা উল্লেখ করেন এবং বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কে বিশ্বমানের মডেল হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলায় অভিনন্দন জানান এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার কথা বলেন।
বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: মোমিনুর রহমান তার বক্তৃতায় তার সময়ে হাসপাতালে সম্পাদিত কাজের কথা তুলে ধরেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিগত দুই বছরে দুইবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, যা তিনি কক্সবাজার বাসীর সাফল্য বলেন। এছাড়াও তিনি কোভিড মহামারী এবং ডেংগু পরিস্থিতি নিজ তত্ত্বাবধানে মনিটরিং করতেন, যার জন্য দেশের এই মহামারী পরিস্থিতিতেও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান এবং ফলোআপ নিশ্চিত করেন, যার ফলে সদর হাসপাতালে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর হার খুবই নগন্য মাত্র ৪ জন।
এছাড়াও তাঁর তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে বিশ্বমানের জরুরি বিভাগ, অত্যাধুনিক আইসিইউ, ডেডিকেটেড হৃদরোগ বিভাগ, আধুনিক বর্হিবিভাগ ভবন, মর্ডান ল্যাব, বৈকালিক বিশেষজ্ঞ সেবা, বৈকালিক প্যাথলজিকাল সেবা, রাত ৯ টা পর্যন্ত সিটি স্ক্যান, এক্সরে, আল্ট্রাসাউন্ড সেবা চালু করেন, যা কক্সবাজার বাসীর চিকিৎসা সেবা কে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যায়। তিনি তার এই সময়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে সাড়ে চার কোটি টাকা জমাপ্রদান করতে সক্ষম হন, যা এই যাবত কালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নজিরবিহীন।
পরিশেষে তিনি বলেন, সরকারি চাকুরীতে বদলী বা নতুন পদায়ন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিগত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রিয় কক্সবাজার বাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নিসলসভাবে সেবা, শ্রম ও পরামর্শ দিয়ে যারা তার সাথে ছিলেন তিনি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com