দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্রই দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কয়েকটি ধাপে নেওয়া এ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা হবে চলতি (জানুয়ারি) মাসের শেষের দিকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। চলতি মাসেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার খবরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্রই চলছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হবেন আওয়ামী লীগের দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। নির্বাচনী আলোচনায় সাধারণ ভোটারদের মুখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ্যাড. মাহাবুবর রহমান মধুর নাম শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের নৌকা মার্কার জয়ের পেছনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর জন্য দিনরাত প্রচারণার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরকে চাঙ্গা করে দিনরাত শ্রম দিয়ে নৌকা মার্কার বিজয়ে তার ভূমিকা ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নব্বই দশকের রাজপথের অকুতোভয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করা একজন লড়াকু সৈনিক মধু। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল বিএম কলেজের মেধাবী পরিচ্ছন্ন পরিশ্রমী জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতা ও ছাত্র সংসদ বাকসুর সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক। বর্তমান সময়ে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান স্বনামধন্য ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. মাহবুবুর রহমান মধু । ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে থেকেই নিজেকে জনতার সেবক হিসেবে উপস্থাপন করে নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছেন সর্বদা। যেকোনো মুহূর্তে! ঘূর্ণিঝড় বুলবুল,আম্পান, ঝড়ের মুহূর্তে ছুটে বেড়িয়েছেন সদর উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, জনসাধারণের খোঁজ নিতে। নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা এক মুহুর্তের জন্যও ভাবেননি। প্রতিটি মুহূর্তে বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা মহৎ ব্যাক্তিটির নাম -মধু, হেমিলিয়নের বাঁশিওয়ালা খ্যাতো জনতার মধু ভাই। তার প্রতিদিনের যাত্রা সদর উপজেলা বাসীকে করেছে অভিভূত , যেমনটা শুধু কিছু জনপ্রতিনিধিদের শুধু নির্বাচনী প্রচারনা কালীন দেখা যায়। যার সম্পর্কে বলতে গেলে শুদীর্ঘ সময় এর বিষয়। প্রকৃতঅর্থেই একজন স্টেট ফরওয়ার্ড ব্যাক্তি সরাসরি সাদাকে সাদা কালো কালো বলেন। সত্য একটু তেতো তবে বেশ উপকারী। সরকারি ঘড়,টিউবওয়েল সব কিছু বিনামূল্যে স্ব স্থানে গিয়ে পরিদর্শন করে জনতার দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়াই যার মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয় যেখানেই অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা, মৃত্যুর সংবাদ ছুটে গিয়েছেন নিজ প্রচেষ্টায়, উপস্থিত হয়েছেন। আরো জানা যায়, সৎকার সহ ধর্মীয় সকল কার্যক্রমে। ধর্ম বর্ণ গরীব ধনী দলমত নির্বিশেষে সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিজ কার্যক্রমের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলেছে ব্যাপক ভাবে। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠঘাট, হাট-বাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ। জনবান্ধব এবং পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসাননি তিনি। তৃণমুল নেতাকর্মিদের সঙ্গে থেকে এখনও সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে। দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। বিভিন্ন এলাকায় এলাকার ভোটার ও সাধারণ সচেতন মহল তার মত একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থীকে এলাকার উন্নয়নের জন্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় চায়। যাতে তিনি তার সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট উপজেলা গড়তে পারেন। এ্যাড. মাহবুবুর রহমান মধু জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে চাই।