1. : admin :
ইফতার নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ‘বিগ ইফতার’ - দৈনিক আমার সময়

ইফতার নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ‘বিগ ইফতার’

ইমন হোসেন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
    প্রকাশিত : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

মিরপুর গাবতলীতে প্রতিদিন বিনামূল্যে প্রায় ১৩০০ মানুষকে ইফতার করাচ্ছে ‘বিগ ইফতার’ নামে একটি সংগঠন।”জ্বলুক চুলা সব পাড়া মহল্লায়, ক্ষুধার্থ না থাকুক একটাও মানুষ” –এ শিরোনামে বাচ্চা, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম -মুয়াজ্জিন, ভাড়াটিয়া, ভ্রাম্যমাণ মানুষ, গাবতলী চেকপোস্টের পুলিশদের জন্য করা হয় প্রতিদিনের এ আয়োজন।চার ডেকচিতে রান্না হয় মুরগি ও সবজি খিচুরি সঙ্গে খেঁজুর আর জিলাপিও থাকে। 

শুরুতে কয়েকজন যুবক মিলে এ উদ্যোগটি   নিলেও পরবর্তীতে সমাজের বেশকিছু মানুষ এগিয়ে আসেন এর শরিক হতে।
সারাদিন রোজা রেখে বিনা পয়সায় নিরলস ভাবে রান্না ও বিতরণের এই আয়োজনের করে থাকেন। বর্তমানে তাদের ৮০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা গাবতলী বাস টার্মিনাল, কেরানীগঞ্জ, বাগবাড়ি ক্লাব মসজিদ ও বিগ ইফতারের অফিসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিগ ইফতারের’ প্রধান সমন্বয়ক, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ও শিক্ষক ইলিয়াস রুবেল বলেন, ২০২০ সালে করোনা ক্রান্তিকালে কঠোর লোকডাউনে যখন সারা দেশের মানুষের জীবন জীবিকা স্থবির, খেটে খাওয়া মানুষ এবং দিন মজুর কাজে না গেলে কিভাবে তাঁদের ঘরে চুলা জ্বলবে, সেই ভাবনা থেকে গাবতলীর কিছু যুবক আমরা রাতে এক বেলা বিনা মূল্যে খিচুড়ির ব্যবস্থা করি, যেটা কিনা উন্মুক্ত চুলা , সবার জন্য খোলা। এক মাস লক ডাউনে খাবার বিলির পর কিছুদিন সবকিছু খুলে দিলেও রমজানে আবার লক ডাউনের ঘোষণা আসে। আমরা এইবার পরিকল্পনা করি প্রতিদিন ইফতারিতে সবাইকে খিচুড়ি দেয়া হবে এবং পুরা রমজান চলবে।

তিনি বলেন,আমাদের ইফতারি নিতে ছোট, বড়, ধোনি, গরিব, হিন্দু, মুসলিম, মসজিদ, মাদ্রাসা সবাই আস্তে থাকে। শুরুতে ১ডেগচি খাবার রান্না করলেও ধীরে ধীরে আমরা ৪ ডেগচি পর্যন্ত খাবার তৈরী করি, এবং একটি মসজিদে বুফে ইফতারের আয়োজন। ৪টি ভিন্য ভিন্য জায়গাতে প্রতিদিন এই ইফতারি দেয়া হয়।

ইফতার আমাদের সিগনেচার কাজ হলেও প্রতি বছর আমরা দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার, শীতের কম্বল, বন্যার্তদের ত্রাণ, মসজিদ মাদ্রাসায় খেজুর ও চালের বস্তা বিতরণ, বৃক্ষ রোপন, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, কোরবানির গোস্ত বিতরণ, শিক্ষা বৃত্তি, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সাবলম্বীকরণ প্রজেক্ট, পাঠাগারসহ নানানমুখী সামাজিক কাজের সাথে সমৃক্ত আছি।

ইফতারি পেয়ে রশিদ নামে একজন বলেন, ‘এ রোজায় বাজার থেকে ইফতার কিনে খাওয়ার মতো আমার সামর্থ্য নেই। সারা দিন রোজার রাখার পর আমার মতো অনেকের বাড়িতে চিনির অভাবে মেলে না শরবত। টাকার অভাবে ইফতারের পাতে থাকে না  ছোলা কিংবা খেঁজুর। বিনামূল্যে ইফতারের পণ্য  পেয়েছি, তাতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার খেতে পারব।’

প্রধান সমন্বয়ক আরো বলেন,আমাদের এই সকল কাজের আর্থিক যোগান একান্তই ব্যক্তিগতভাবে হয়ে থাকে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবেরা মিলে বিশাল এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাথে আছে একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী, যাঁরা প্রতিনিয়ত বিনাপারিশ্রমিকে এই কাজকে সহজভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com