সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা) এমভি আবদুল্লাহ আল হামরিয়া বন্দরে নোঙ্গর করেছে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান।
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, কেমসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিমসহ ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল নাবিকদের বরণ করে নেন। এর আগে রবিবার জাহাজটি বহির্নোঙরের ‘বি অ্যাংকরেজ’ এলাকায় নোঙর করে।
শাহরিয়ার জাহান জানান, বন্দরে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হবে। এবং পরবর্তীতে নতুন কোন কার্গো পেলে তা দিয়ে চট্টগ্রাম বা নতুন কোনো গন্তব্য যাবে জাহাজটি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জাহাজ পরিদর্শন ও নাবিকদের সাথে আলোচনার পর।
তিনি আরও জানান, আপাতত আমাদের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপর নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ বেলা ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। দীর্ঘ এক মাস সোমালিয়া উপকুলে জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে জাহাজটি দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়। এরপর দুবাই বন্দরের দিকে রওয়ানা দেয়।
জাহাজের ২৩ নাবিকেরা হলেন, জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুরুদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।
Leave a Reply