নতুন গির্জা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশপ চেরিয়ান বলেন, প্রবাসী সম্প্রদায়কে তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস পালনে স্বাধীনতা প্রদান এবং উপাসনালয় নির্মাণের জন্য জমি ও অনুমোদন প্রদানের জন্য আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দানশীল শাসকদের ধন্যবাদ জানাই। আবু মুরেখা এলাকায় অবস্থিত গির্জাটি রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের উপহার দেওয়া ৪ দশমিক ৩৭ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা বিএপিএস হিন্দু মন্দিরের বিপরীতে নির্মাণ করা হয়েছে এই গির্জাটি। মুসলিম এলাকায় অবস্থিত এই গির্জার বিপরীতে তাকালে দেখা যায় হিন্দুদের মন্দির। এই বৈচিত্রের কারণে আল মুরেখা এলাকাটিকে এখন সাংস্কৃতিক জেলা নাম দেওয়া হয়েছে।
বিশপ চেরিয়ান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মূল্যবোধ, সহনশীলতা, এবং ধর্মীয় সম্প্রীতিকে তুলে ধরে এই উদ্যোগ। এই বিষয়টি চমৎকার এবং মানবতার জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক বার্তা।
ভবনটির উচ্চতা দেবদূতদের ডানার প্রতিনিধিত্ব করে। মেটে রঙের এই ভবনটি ডিজাইন করেছেন কিংবদন্তি মিশরীয় স্থপতি মাহের লামি।
১২ হাজার বর্গফুট আয়তনের গির্জা কমপ্লেক্সের ভেতরে ৮৮০ জনের বেশি উপাসকদের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে। মূল প্রার্থনাকক্ষটিতে ৬০০ উপাসকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আরও ১৫০ জন বসতে পারবেন বারান্দায়। এছাড়া ১০০ জনের থাকার জন্য একটি ‘বেথেল’ কমন হল এবং বাবা-মাসহ ৩৫ জন লোকের ধারণক্ষমতাসহ শিশুদের জন্য নির্ধারিত এলাকা রয়েছে এই গির্জায়।
আগামী ৫ মে থেকে প্রতি রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এটি সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সব দিন খোলা থাকবে।
Leave a Reply