দিনভর রোজা শেষে কী দিয়ে ইফতার করবেন তা নিয়ে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা চলছে জোরেশোরে। ব্যবসার উদ্দেশে পাড়া-মহল্লার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও তৈরি করছে ভাজাপোড়ার মচমচে আইটেম। তবে এসব খাবার খাওয়ার বিষয়ে হৃদরোগ-স্ট্রোকে আক্রান্ত এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অন্যান্য রোগের মতো হৃদরোগ-স্ট্রোক ‘উস্কে দিতে পারে’ ইফতারের এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। এসব খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রোজার মাসে ইফতারিতে এসব খাবার পরিহার করে ফলমূল-শাকসবজিসহ সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ তাদের।
ইফতারে যা খাওয়া হয়, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজার মাসে আমাদের এমনিতেই কম খাওয়াই উচিত। কারণ, ধর্মীয়ভাবে এ মাসে সংযমের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাসটিতে ইফতার বা সাহরিতে যা খাওয়া হয়, সেটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমাদের দেশে ইফতার মানেই ভাজাপোড়া বেশি খাওয়া, তৈলাক্ত জিনিস বেশি খাওয়া। এটা বিশেষ করে যারা হার্টের রোগী, যারা ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। এসব খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রোজার মাসে ইফতারিতে এসব খাবার পরিহার করে ফলমূল-শাকসবজিসহ সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ তাদের
তিনি বলেন, এসব খাবারে হৃদরোগ না হলেও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমন খাবার খেলে প্রথমত হজমের সমস্যা হয়, পরে কোলেস্টেরল লেভেল, ব্লাড সুগার লেভেলের কন্ট্রোল ঠিক মতো থাকে না। এজন্য আমি বলব, ভাজাপোড়া কম খেয়ে বরং শাকসবজি, চিড়ামুড়ি, দই— এ ধরনের খাবার বেশি খাওয়া। এগুলো হজমের জন্য ভালো, আবার কোলেস্টেরল, সুগার লেভেলও ভালো রাখে।
Leave a Reply