চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়া সদস্য মিনু বেগম কে ৯৩৭ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি গাঁজা সহ কুমিরার পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত তার আবাসস্থল সোনার পাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার।
মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু বেগম (৫৫) পিতা-মৃত তোফায়েল আহমেদ মাতা- মৃত সায়েরা খাতুনদ সাং-সোনার পাড়া( রেল লাইনের পূর্ব পাশে), ০৬ নং ওয়ার্ড,ছোট কুমিরা, ০৭ নং কুমিরা ইউপি, থানা- সীতাকুণ্ড জেলা- চট্টগ্রাম।
জানা যায়, টেকনাফ থেকে কুমিরা টু ঢাকাসহ আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিদের অন্যতম সদস্য বলে বিবেচিত হওয়ায় তিনি সুকৌশলে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে ( তার আস্তানায়) প্রবেশ করতে হলে স্পেশাল সিকিউরিটির পাহারা ভেদ করে প্রবেশ করতে হয়। এই মাদক সম্রাজ্ঞীর সিকিউরিটি সদস্য ও ইনচার্জ হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালী সদস্য ও অন্যান্য অনুভূতির জনবল নিয়োগ করা আছে। এদের দেখভালসহ দৈনন্দিন খরচ বাবদ প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে খরচ করেন এই মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার( ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছদ্মবেশ ধারণ করে অদ্য ১৯/০৫/২৩ইং ১৯.১০ ঘটিকার সময় আমার সার্বিক দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্রয়োজনীয় পন্থা অবলম্বন করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু সাঈদ ও সেকেন্ড অফিসার এসআই মুকিব হাসানের নেতৃত্বে এস আই ফারুক,এসআই সুজন শর্মা,এএসআই জমির, এএসআই সুমন, এএসআই রকিবুল ও ফোর্সের পারস্পরিক সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ৯৩৭ ( নয়শত সাঁইত্রিশ) পিচ ইয়াবা ও ০১(এক) কেজি গাঁজা সহ বর্ণিত মাদক সম্রাজ্ঞীকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত তার আবাসস্থল সোনার পাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই মাদক সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ১২টি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই মাদক সম্রাজ্ঞীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে যে, সে একজন আন্তজার্তিক মাদক চোরাচালানের সদস্য৷ সে আরো স্বীকার করেছে যে, সে দীর্ঘ দুই দশক ধরে মাদক ব্যবসা করে আসতেছে। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য একটি টিম অভিযানে নিয়োজিত আছে।
Leave a Reply