1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
সিলেটে বিএনপির ইফতারে সমালোচিত সিলেট যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাকির উপস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় - দৈনিক আমার সময়

সিলেটে বিএনপির ইফতারে সমালোচিত সিলেট যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাকির উপস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড়

সিলেট প্রতিনিধি : 
    প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

সিলেটে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকি’র আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল আমান উল্লাহ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানকে ঘীরে সিলেটে জুড়ে দল ও দলের বাহিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

 

গত ১৬ মার্চ ২০২৫ইং বিভিন্ন জন স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের সমালোচিত সিলেট যুব মহিলালীগের নেত্রী লাকি আক্তার ওরফে লাকি আহমেদের উপস্থিতির বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। ইফতার মাহফিলে বিএনপি’র নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সেই নেত্রী। জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে সেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাকি আক্তার ওরফে লাকি আহেমদ সিলেট  মহানগর যুব মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা ছিলেন।

 

 আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর লাকি আক্তার বিএনপির কিছু পদ-পদবী নেতাদের সাথে ব্যক্তিগত্ব সম্পর্ক স্থাপন করে বীর দর্পে সিলেট শহর ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং বিএনপির বড়-বড় প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি বিএনপিতে ফেরার  চেষ্টা করছেন।

 

লাকির উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে, দলের দুঃসময়ে যারা বিএনপি’র পক্ষে লড়াই করেছেন তাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে আওয়ামী লীগ থেকে আসা ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করার চেস্টা চলছে।

 

এ বিষয়ে বিএনপি’র কিছু নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান,লাকি আক্তারের আদিবাস ময়ময়নসিংহে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থা বিএনপি’র অনেক নেতাকর্মী তথা সিলেটের অনেক নিরীহ মানুষকে ব্ল্যাক মেইল করে মিথ্যা ধর্ষণ, হয়রাণী মামলা ও ছবি দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে লাখ-লাখ টাকা কামিয়েছে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের বিগত সরকারের আমলে পুলিশ দিয়ে অহেতুক হয়রাণী করেছে বলে অভিযোগ তুলেন। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হামলা-মামলার শিকার হয়ে এলাকায় থাকতে পারিনি। অথচ এখন আওয়ামী লীগ থেকে আসা ব্যক্তি বিএনপি’র মঞ্চে আসন গ্রহণ করছেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কয়েকজন বিএনপি’র নেতা বলেন, বিএনপি’র হাইকমান্ডের উচিত জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া। বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপি’র কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com