জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় নড়িয়া উপজেলার ক্ষেত্রে – নড়িয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জনাব সামছুল আলম।
তিনি ২০১৩ সালে ৩২ তম বিসি এস (সাধারন শিক্ষা) ক্যাডারে, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নড়িয়া সরকারি কলেজে যোগদান করেন। দীর্ঘ দিন যাবত ব্যাপক নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে কলেজ ও এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন এবং কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডি এম খালি ইউনিয়নের চরচান্দা বকাউল কান্দি নামক গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার বাবা ডি এম খালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। মা একজন গৃহিনী এবং উপজেলার ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা’ হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
৬ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ৫ম। তার ছোট ভাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাওয়ার গ্রীডে কর্মরত। তার বোনেরাও সরকারি চাকুরিজীবি।
শিক্ষাসচেতন, পরিমণ্ডলে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডি এম খালীস্থ চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে এস এস সি, সিরাজ সিকদার ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (১ম ব্যাচ) ইংরেজি বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
তার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাকসুদা খাতুন বলেন, জনাব সামছুল আলম আমার পছন্দের মানুষ। তার কর্তব্যপরায়ণতা, আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট অগ্রসর৷ তার শ্রেনী কার্যক্রম অসাধারন।
শিক্ষক- কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে ছোটবেলা থেকেই জড়িত। কিশোর কল্যান সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড উপজেলা ও জেলা কমিটি, প্রয়াস, শরীয়তপুর সাংস্কৃতিক ফোরাম, সেইম ইয়ার ২০০২, এস এস সি ২০০২ ইন শরীয়তপুর, এস এস সি ২০০২ ব্যাচ বাংলাদেশ, শরীয়য়পুর ব্লাড ব্যাংক সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কর্মকান্ড করে থাকেন।
জনাব সামছুল আলম বলেন, পারিবারিক ভাবেই আমি শিক্ষক পরিবারের সন্তান, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম লাল মিয়া মাষ্টার সাহেব আমার আদর্শ। তার কাছ থেকে শিখেছি শিক্ষকতা একটি পেশা নয় বরং ব্রত। শুধুমাত্র দায়িত্বের কারনে নয় বরং শিক্ষকতাকে ব্রত হিসাবে গ্রহণ করলে প্রকৃতভাবেই শিক্ষকতার আসল স্বাদ পাওয়া যায়।
তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে তার পরিবার পরিজন, এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী এবং তার শিক্ষার্থীরা খুবই গর্বিত।
তার সহকর্মী জনাব শশাংক বাড়ৈ বলেন, সামছুল আলম স্যার একজন সৎ, আন্তরিক মানুষ। শিক্ষার্থীদেরকে সহজ করে পাঠ বুঝানোর ক্ষেত্রে তিনি অসাধারন।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি তার এই পুরস্কার কে তার বাবা মা, সন্তান, সহকর্মী ও তার প্রিয় শিক্ষার্থীদেরকে উৎসর্গ করেন।
Leave a Reply