রাজধানীতে শুরু হলো ৫ দিনব্যাপী ১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা। দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই আয়োজন চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত।
রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল রয়েছে। ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার’র (ডিটিসি) ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি এ মেলার আয়োজনে করছে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এ এইচ এম আহসান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিইও, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বাংলাদেশ ও মাহবুবুল আলম, সভাপতি, এফবিসিসিআই এবং কে এম আকতারুজ্জামান, সভাপতি, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পরিচালক এফবিসিসিআই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান।
১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলায় মূল মেলার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতযোগিতা। প্রতিযোগিতায় সেরা ছবি আঁকার জন্য ২টি গ্রুপে প্রথম ১০ জন করে মোট ২০ জনকে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট ও স্কেচ বুক।
বিগত ১৭ বছর ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মেলার ১৮তম আয়োজন। এই মেলার উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি দেশের বাইরেও রপ্তানি বাড়ানো। এরই মধ্যে বিদেশে ফার্নিচার রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেলায় হাতিল, আখতার, ওমেগা ফার্নিচার, নাভানা, পারটেক্স, রিগ্যাল, নাদিয়া, ব্রাদার্সের মতো ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল অংশগ্রহণ কেরেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্পের গৌরবময় ইতিহাস আছে। এই শিল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে একই ভাবে দেশিয় পন্যের বাজার প্রসারিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে ফার্নিচার শিল্পের প্রসারের ফলে আমাদের দেশিয় বাজারের শতভাগ চাহিদা দেশিয় পন্যে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন আগামীতে এই শিল্প পোশাক শিল্পের মতোই রপ্তানিমূলক শিল্পের পরিনত হবে এবং দেশের সর্বাধিক বৈদাশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পের পরিনত হবে।
Leave a Reply