দেশে বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষা, ২০২৩ চলছে। গত ৯ই মে ২০২৩ তারিখে সাধারণ গণিত পরীক্ষা ছিল। শরীয়তপুরের মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ দেশের শিক্ষাঙ্গনে একটি সুনামের জায়গা দখল করতে সক্ষম হয়েছে।২০২২ সালের শিক্ষা বোর্ডের মূল্যায়ণে এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিভাগে (মহানগর বাদে) শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষায় এই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাথীদের সিট পড়েছে শরীয়তপুর ডগ্রী কলেজ কেন্দ্রে। অংক পরীক্ষার দিন একজন তরুণ ম্যাজিস্ট্রট মো: বাসিত সাত্তার ঐ কেন্দ্রে দুই ঘন্টা অবস্থান করেন। তিনি পরীক্ষা হলের মধ্যে প্রবেশ করে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন বলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ অভিযোগ করেন।
ম্যাজিস্ট্রট নৈব্যক্তিক পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিটের মাথায় কমপক্ষে ২১ জন পরীক্ষার্থীর খাতা নিয়ে নেন। যারা সবাই মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছাত্রী। নৈব্যক্তক পরীক্ষার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত খাতা ফেরত দেন নাই ওই ম্যাজিস্ট্রেট। অভিভাবকরা দৈনিক আমার সময় কে জানান বাচ্চাদের কেউ কেউ ম্যাজিস্ট্রের পা ধরে মাফ চেয়েছে। কান্নাকাটি করেছে তবু ম্যাজিস্ট্রের মন গলেনি এবং খাতাও ফেরত দেননি। শিক্ষারর্থীদের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট মো: বাসিত সাত্তার এর অভিযোগ তারা পাশের পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় ২১ জন ছাত্র-ছাত্রী একই সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে এটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে! ম্যজিস্ট্রেটের উচিত ছিল সাবধান করে খাতা ফেরত দেয়া। সরল বিশ্বাসে দায়িত্ব পালন করলে তাই হওয়ার কথা ছিল।
যাদের খাতা নিয়েছে শুধু তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার কারণে সকল পরীক্ষাথীর অংক পরীক্ষা খারাপ হয়েছে।
পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রের দায়িত্ব কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা। কেউ যদি নকল করতে কোন পরীক্ষাথীকে সহায়তা করে তবে তার বিরুদ্ধে
The Public Examination Act, 1980 অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। পরীক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোন এখতিয়ার পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটকে ঐ আইনে ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
ম্যাজিস্ট্রের এ রকম অপ্রত্যাসিত coercive ভূমিকার কারণে অনেক কোমলমতি পরীক্ষার্থী traumatised হয়ে পড়েছে বলে অভিভাবকগণ জানায়। বাকী পরীক্ষার জন্য তারা ভালভাবে প্রস্তুতি নিতেও পারছে না।
প্রশ্ন হল ম্যাজিস্ট্রেট এ কাজ করতে পারে কিনা।তার ক্ষমতা সম্বন্ধে তিনি অবহিত কিনা। কোন মহল দ্বারা তিনি প্ররোচিত হয়েছিলেন কিনা। একজন প্রশাসনিক কর্মকতা কি এমন কাজ করতে পারেন যা কোমলমতি শিক্ষাথীদের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অভিভাবকদের মধ্যে এ ঘটণায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের ধারণা একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে এ কাজটি করেছে। তারা মনে করে, যে বা যারা সাবেক আইজি শহীদুল হক সাহেবকে প্রতিপক্ষ মনে করে এবং এ প্রতিষ্ঠানের সুনামে ঈরষান্বিত তিনি বা তারা ষড়যন্ত্র করে এ ন্যাক্কারজনক কাজটি করেছে।
মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাদের বুঝতে বাকী নেই কে বা কারা এ ষড়যন্ত্র করেছে।
তারা বলেন, ষডযন্ত্রকারীরা সাবেক আইজি সাহেবের ক্ষতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইজি সাহেবের তো ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে শরীয়তপুর জেলাবাসী ও তাদের সন্তানদের।
একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতি করার মানসে যারা ষড়যন্ত্র করে তারা রাজনীতিবিদ হউক বা জনপ্রতিনিধি হোক কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হোক তারা জনগণের শত্রু। এই ধরনের ব্যক্তিদের মোখস জনসম্মুখে উম্মুক্ত হওয়া উচিত। তাদেরকে ধিক্কার জানানো উচিত।
সচেতন মহলের দাবী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
Leave a Reply