বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য তহবিল বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্য। অত্যাবশ্যক মানবিক সেবার জন্য অতিরিক্ত ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করেছে দেশটি।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক মন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) আঞ্চলিক সম্মেলনে এই অর্থায়নের ঘোষণা দেন।
ট্রেভেলিয়ান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যান-ম্যারি ট্রেভেলিয়ান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজতে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত। রোহিঙ্গারা যতক্ষণ না নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারে, আমরা চলমান মানবিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ কারণেই আমরা বাংলাদেশে শরণার্থীদের সুরক্ষা পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ক্লিন এনার্জির জন্য আরও ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর’র আঞ্চলিক সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারের টেকসই সমাধান এবং তাদের স্বাগতিক দেশগুলোর প্রতি সমর্থন নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।সহায়তা প্যাকেজের আওতায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক দেশের স্বাস্থ্যসেবা এবং ক্লিন এনার্জির জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে ২ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করা হয়েছে। শরণার্থী এবং স্বাগতিক দেশে সুরক্ষার জন্য এনজিওগুলোর মাধ্যমে ২ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং যৌন ও প্রজনন বিষয়ক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে সাড়ে ৪ লাখ পাউন্ড প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক দেশের সমর্থনে ৩৭০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের সহায়তার জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করেছে। এর মধ্যে খাদ্য, পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা রোহিঙ্গা শিবিরের নারী ও মেয়েদের জন্য অত্যাবশ্যক৷
Leave a Reply