শুরুটা দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকা দিয়ে তখন ১৯৯৬ ইংরেজি সাল । পরবর্তীতে মানবজমিন , ভোরের ডাক এবং বর্তমানে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এ কর্মরত।
সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিলো কিন্তু ২০২১ ইংরেজি সালের শেষের দিকে ধরা পরে তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত । বর্তমানে দুটি কিডনীই বিকল। অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এর তত্ত্বাবধানে চলছে চিকিৎসা , প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ( বৃহস্পতি, শনি এবং সোমবার ) ডায়ালাইসিস করাতে হয় । এভাবেই চলছে গত দুই বছর যাবত , যা কিছুই করুক টাকার প্রয়োজন , এখন যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না , স্বামীর এই মৃত্যু যন্ত্রণা যেন আর স্ত্রী সইতে পারছিলো না তাই তাঁর স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের দুটি কিডনীর মধ্যে একটি কিডনী স্বামীকে উপহার দিবেন । একজনের কিডনী আরেকজনকে প্রতিস্থাপন করতে হলে কোর্টের অনুমতি লাগে , এছাড়া আরো কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সবকিছু ঠিক গুছিয়ে এনেছিলো কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায় , এই কিডনী প্রতিস্থাপন করতে মোট খরচ লাগবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা । কিন্তু সবদিক থেকে টেনেটুনে ব্যবস্থা হয়েছে নয় লক্ষ টাকা , আরো বাকি রইল তিন লক্ষ টাকা । এই টাকাটা জোগাড় করতে না পারার কারণে কিডনীটি প্রতিস্থাপন করতে পারছে না এবং প্রতিদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছে । আর মানুষের কাছে গিয়ে যে টাকা চাইবে শরীরের অবস্থাও ঠিক তেমন নেই । তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মুজিব সারোয়ার মাসুম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান সাংবাদিক মোস্তফা কাজলের চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা সবাই আন্তরিক কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এতগুলো টাকা সংগ্রহ প্রায় অসম্ভব ।
সাংবাদিক মোস্তফা কাজলের প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জসীম উদ্দিন ( সাবেক কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ , সাভার থানা কমান্ড ) এ বিষয়ে বলেন মোস্তফা কাজলের মতো একজন সৎ নির্ভীক সাংবাদিক আমাদের সামনে থেকে নিঃশেষ হয়ে যাবে তা মেনে নেয়া যায় না। তাই সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আহবান জানান , সকলের সহযোগিতার ফলে হয়তো বেঁচে যাবে একটি প্রাণ, একটি পরিবার ।
উল্লেখ্য মোস্তফা কাজল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ( ডিইউজে ) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ( ডি আর ইউ ) ও মিরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য । এছাড়া তিনি ২০১২ এবং ২০১৫ তে ডিআরইউ এর পরিচালনা পরিষদের নির্বাচিত নেতা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে ও অংশগ্রহণ করেছিলেন । সারাজীবন মানুষের সংবাদ লিখতে লিখতে এখন তিনি নিজেই সংবাদ এর শিরোনাম হয়ে যাচ্ছেন ।
মোস্তফা কাজল তার পৈতৃক বাড়ি মিরপুরে বসবাস করছেন , তিনি আক্ষেপ করে বলেন জীবনে চলার পথে অনেককে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি কিন্তু আমার এই দুঃসময়ে কারো সহযোগিতা পাচ্ছি না , আমি আর কিছুদিন এই পৃথিবীতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই এবং মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই , যদি কেউ আমার পরিবারের কথা চিন্তা করে আমার চিকিৎসায় সহযোগিতা করে আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
Leave a Reply