বরিশাল এক সময় বিএনপির ‘ঘাটি’ বলে পরিচিত ছিলো। সেই বরিশালকে আ’লীগের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। আর মহানগর আ’লীগের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহানগর সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সাম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতা চালাতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে বরিশাল মহানগর বিএনপি। অপরদিকে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতা’ প্রতিহত করার অঙ্গীকারে মাঠে নামেন মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বিএনপির সহিংসতা ঠেকাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সিএন্ডবি রোড এলাকায় ছুটে যান সাদিক। এ সময় তার উপর গুলিবর্ষণ ও হামলা করা হয়। ঘটনার সময় তার সাথে থাকা ছাত্রলীগ নেতা রাজিব হোসেন খান, সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি ও তার ভাই জনি মানবপ্রাচির তৈরি করলে কোনভাবে প্রাণে বাঁচেন সাদিক। তারা মানবপ্রাচির তৈরি না করলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এতেও পিছ পা হননি তিনি। নিজে দাড়িয়ে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান সাদিক আবদুল্লাহ। নজর কাড়েন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর। ২৩ জুলাই কোতয়ালী মডেল থানায় সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মীর ওপর গুলিবর্ষণসহ হামলার অভিযোগে ৮০০ বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মহনগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. গোলাম সরোয়ার রাজিব। মামলায় ২৪ জনের নামোল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি সারাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা মোকাবিলায় ও হতাহত ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ঠিক এমন সময় মাঠে থেকে বরিশালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতা রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন সাদিক আবদুল্লাহ। তার উপর গুলিবর্ষণ করা হলেও তিনি পালিয়ে না এসে কঠোর হাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতা দমন করেছেন। নিজের জীবন বাজি রেখে দলীয় সিদ্ধান্ত ও বরিশালের জন্য কাজ করেছেন। এটা সত্যিই প্রসংশনীয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বরিশাল বিএনপির ‘ঘাটি’ বলে পরিচিত। এখানে দেশের অন্যান্য স্থানের থেকে বেশী সহিংসতা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে মাঠে কঠোর ভূমিকা পালন করেছে মহানগর আ’লীগ। এ কারনেই বরিশালে সহিংসতা কম হয়েছে। তবে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতা রোধ করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ‘গুড লিষ্টে’ নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত। সাদিক আবদুল্লাহ বলেন সরকার হটানোর অপচেষ্টা সফল হতে দিতে পারি না। এ অশুভ চক্রান্ত ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কায়দায় লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। সরকার হটাতে এখনো সক্রিয় দেশি-বিদেশী কুচক্রী মহল। তিনি আরো বলেন আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কামনা করি না। যারা সহিংসতায় জড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। অচিরেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। বিএনপি-জামায়াত বাম উগ্র গোষ্ঠী। বিএনপির-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা আবারো হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। আমরা মহানগর আ’লীগ প্রস্তুত রয়েছি। আ’লীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষ বানানোর চেষ্টা সফল হবে না।