বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মেঘনা পেট্টোলিয়ামের জ্বালানী তেলবাহী ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরনে ২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও আরো ১ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় আরো ৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বাবুল কান্তি দাস (৬৪) ও স্বাধীন (২২)। নিখোঁজ ব্যক্তি হলেন কাশেম। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার মোঃ কুতুবউদ্দিন (৬০), মোঃ রুবেল হোসেন (৩০) ও মোঃ কামাল হোসেন (৬০)। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মিরাজ জানান, দ্বগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তাদের ঢাকায় পাঠানো মেঘনা পেট্টোলিয়ামের বরিশাল ডিপো ম্যানেজার কামরুল হাসান বলেন, এম টি ইবাদী-১ নামের ট্যাংকারে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ লিটার ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে এসেছে। জ্বালানী তেল খালাসের পূর্বে ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে লোকবলের ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস বলতে পারবে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস, কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে বলে জানান তিনি। ট্যাংকারে ১৬ জন নাবিক ছিলো। তারা জ্বালানী তেল নিয়ে আসে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা গিয়ে ২ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। কর্মচারীদের দাবি আবুল কাশেম নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধানে তল্লাশী চলছে। নিখোঁজ কাশেমকে ইঞ্জিন কক্ষে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে তিনি হয়তো নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন। নদীতে তল্লাশী করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারন উপ-পরিচালক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি জাহাজের ইঞ্জিন রুমের এয়ার কম্প্রেসার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবো। দুর্ঘটনা সম্পর্কে দ্বগ্ধ কুতুবউদ্দিন জানিয়েছেন, তেলের ট্যাংকারে গ্যাস জমে। ঐ গ্যাস বের করে তারপর ইঞ্জিন চালু করতে হয়। তেল খালাসের জন্য গ্যাস বের না করেও ইঞ্জিন চালু করতে যায়। তখন ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে
Leave a Reply