1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে দিন বদলে গেছে বেড়া'র কিরামত আলীর - দৈনিক আমার সময়

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে দিন বদলে গেছে বেড়া’র কিরামত আলীর

বেড়া পাবনা,প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছেন দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লাখো মানুষ। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনছেন কিরামত। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনছেন কিরামত এর মতো হাজার পরিবার। অবহেলা আর করুণা থেকে মুক্ত হয়ে অনেক পরিবারের দিনবদলের গল্প শুনা যাচ্ছে। একটা সময় মানুষের করুণা ও দয়ার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকলেও বর্তমানে জমি ও ঘরের মালিক হয়েছেন তারা। পাশাপাশি আয়মূলক নানা কাজে সম্পৃক্ত হয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নও বুনছেন তারা। নতুন ঘরের বারান্দায় যেন স্বর্গ সুখের আনন্দ। সন্তানদের এমন হাসিমাখা-আনন্দমুখর মুখ প্রতিটি বাবা-মায়েরই স্বপ্ন। যদিও কয়েক দিন আগেও জীবন ছিল জলেভাসা পদ্মেরই মতো। আজ সেই জীবন খুঁজে পেয়েছে জীবনের মানে। সীমাহীন দুঃখের কাল পেরিয়ে ফিরেছে নিশ্চয়তা, মিলেছে স্বস্তি, পেয়েছেন মাথা গোজার ঠাই। কয়েক হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর ও জমির দলিল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের একজন মোঃ কিরামত আলী, বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়ন এর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর ও জমির দলিল পেয়েছেন। ঘর পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে শুরু করেন বসবাস। অন্যের উপর নির্ভর না হয়ে জীবিকার তাগিদে ঘরের বারান্দায় শুরু করছেন হস্ত চালিত তাঁতে লুঙ্গি তৈরির কাজ।এ থেকে ভালোই আয় করেন ।প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ পিস লুঙ্গি তৈরী করেন কিরামত। যার প্রতি পিস পাইকারি মূল্য তিন শত টাকা। পরিবার নিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। অভাব অনটনের সংসারে তার এমন কাজ দেখে অনেকে স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।কিরামত আলী বলেন,আগে মানুষের কারখানায় কাজ করতাম। দৈনিক পারিশ্রম পেতাম তা দিয়ে টেনেটুনে চলতো। নিজের কোনো জায়গা জমি নেই।এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছি,বারান্দায় একটা তাঁত বসিয়ে কাজ করছি ঢাল ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।কিরামত আলীর স্ত্রী বলেন,আগে বাহিরে বাহিরে কাজ করছে এখন ঘর বাড়ি পেয়েছি বাড়িতে কাজ করছেন।গরীব মানুষ আমরা এখানে কর্ম করে খাচ্ছি।আমরা অনেক শান্তিতে আছি। নামাজ পড়ে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা সবুর আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে জমি সহ একটি করে ঘর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি।তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করছেন। আমাদের হাটুরিয়া-নাকালিয়ায় ৩৩ টি ভূমিহীন পরিবার রয়েছে।তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়েছি।আমরা দেখেছি তাদের একজন তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত আছেন।খুব সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছেন।মূল স্রোতে কিন্তু ফিরে এসেছে।আর্থিক সচ্ছলতার ভেতর দিয়ে জীবন যাপন করছেন। বেড়া উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সব সময় আমরা তাদের তদারকি করছি। যারা তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত হতে চান তাদের আমরা চরকা কিনে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।এর মাধ্যমে তাঁত শিল্প কেউ আমরা ধরে রাখতে পারছি। আবার কর্মহীন মানুষ কে সচ্ছলতার এনে দিতে পারছি। এর মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আমরা আশাবাদী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com