নরসিংদীর মনোহরদীতে মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এর মৃত্যুর পর তাঁর ওয়ারিশদের বাদ দিয়ে ছলনা ও প্রতারণা করে শহিদ মাস্টার (৬০) গংরা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে নরসিংদির বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মনোহরদীতে ১. শহিদ মাস্টার (৬০) পিতামৃত- মুনায়েম,সাং- বড়চাপাড়া নামাপাড়া, ২.আঃ খালেক (৫৮) পিতামৃত- মোজাফফর, সাং- চর গোহাল বাড়িয়া ৩.সেলিম (২২) পিতা-দোহাস, সাং- চন্ডিতলা, সর্ব সাং- মনোহরদী থানা, নরসিংদীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এর মেয়ে দোলনা। সিআর মামলা নং ২৫৫ /২০২৩। মামলার আর্জি হতে জানা যায়, বাদিনীর পিতা মৃত আব্দুল খালেক, পিতা মৃত -মোজাফফর আলী,মাতা-হাছেনা বানু, সাং-চর গোহাল বাড়িয়া, ডাকঘর-কৃষণপুর, ইউনিয়ন -চরমান্দালীয়া, উপজেলা -মনোহরদী, জেলা-নরসিংদী একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জাতীয় তালিকা নং-৩৬৫ এবং মুক্তি বার্তা নং-০১০৫০৫০২৮২। আবদুল খালেক ০৫/০৬/১৯৯৮ মৃত্যু বরণ করলে উল্লেখিত আসামিগণ বাদিনীর মাকে মিথ্যা বলে বাদিনীর পিতার নামের ভূয়া কাগজপত্র করে মাসিক ভাতা ৪৫ হাজার টাকা করে এপর্যন্ত মোট ৮৬,৪০০০ (ছিয়াশি লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা উঠিয়েছে। বিষয়টি বাদিনীর নজরে আসলে বাদিনী তার মামার বাড়িতে গিয়ে প্রতারণার কথা বললে আসামীরা ঘটনা স্বীকার করে ৪৩,২০০০ (তেতাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কয়েকবার সময় নিয়ে ও দেয়নি। উপরন্তু, ভবিষ্যতে টাকা চাহিলে বাদিনীসহ উপস্থিত স্বাক্ষীদের প্রাণে মেরে লাশ গুম করার হুমকি ও দেয়।
ফলে বাদিনী ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply