1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
দোহারে স্ত্রী হত্যা মামলায়  স্বামী সহ চার  জনের সাজা   - দৈনিক আমার সময়

দোহারে স্ত্রী হত্যা মামলায়  স্বামী সহ চার  জনের সাজা  

মাকসুমুল মুকিম, দোহার-নবাবগন্জ (ঢাকা) 
    প্রকাশিত : বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকার দোহারে পাঁচ বছর আগে  শিখা আক্তার  হত্যা মামলায় স্বামী  স্বামী রুহুল আমিন সহ নিহতের শ্বশুর

মনোয়ার হোসেন,শ্বাশুড়ি  আছমা বেগম,ও দেবর মারুফ খানকে সাজা দিয়েছে  ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত।

২৫ অক্টোবর( বুধবার) দুপুরে শিখা আক্তারের স্বামী

রুহুল আমিন কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ  দিয়েছেন আদালত।

এছাড়াও  লাশ গুমে সহায়তা করায় রুহুল আমিনের বাবা,   মা ও ভাই কে সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কুমার দেব।

রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে রুনু আক্তার বলেন, রুহুল আমিনের মা আছমা বেগম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। কম করে হলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে আরও খুশি হতাম।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধন হন শিখা। ৩ আগস্ট বিভিন্ন মালামাল দিয়ে তাকে শশুড় বাড়িতে পাঠানো হয়। মালামাল দেখে পছন্দ হয় না শিখার শশুড় বাড়ির লোকজনের। এজন্য তারা শিখার মা রুনু আক্তারের সাথে ভালো ব্যবহার করে না। রুনু আক্তার তার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন স্বামীকে নিয়ে শশুড় বাড়ি আসে শিখা। রাতে মায়ের সাথে ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয়। ৬ আগস্ট শিখার বাবা নাস্তা নিয়ে তার শশুড়বাড়ি যায়। তখন আছমা বেগম তাকে জানান শিখাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুহুল তার শশুড়কে জানায়, রাতে শিখার সাথে ঝগড়া হয়েছে। শিখার মায়ের সন্দেহ হয়, শশুড় বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। পরে রুহুল আমিনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৬ আগস্ট বেলা পৌনে ৪ টার দিকে শিখার লাশ পায় পরিবার। এ সময় শিখার গলায় ওড়না কাপড় দিয়ে সিলভারের কলসীর সাথে বাঁধা ছিল।

এ ঘটনায় শিখার মা রুনু আক্তার ৬ আগস্ট দোহার থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দোহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন মুন্সী। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com