আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐতিহাসিক ‘ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৫ মে) এক বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লং মার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানি সংকটসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।
ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব এরপর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে ভারত একতরফা নিজেদের অনুকূলে যেভাবে পানি প্রত্যাহার করছে, তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। সুতরাং ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে যে ঐতিহাসিক লং মার্চ এগিয়ে গিয়েছিল, তা যেকোনো অধিকার আদায়ে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে।
Leave a Reply